বাংলা নিউজ >
দেখতেই হবে >
পারভেজ মুশারফ: দিল্লির নেহারওয়ালি হাভেলি থেকে পাক প্রেসিডেন্ট হওয়ার সফর একনজরে
Updated: 05 Feb 2023, 09:04 PM IST
লেখক Sritama Mitra
দীর্ঘ অসুস্থতার পর ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩- এ দুবাইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পারভেজ মুশারফ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশারফের জীবনের পরতে পরতে ছিল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ঘূর্ণাবর্ত। দিল্লির দরিয়াগঞ্জের পৈতৃক ভিটে নেহারওয়ালি হাভেলিতে ১৯৪৩ সালে জন্ম মুশারফের। সময়কাল ছিল অবিভক্ত ভারত। পরবর্তীকালে দেশভাগের পর পাকিস্তানে জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে তাঁর। গণিতের ছাত্র পারভেজ মুশারফ পাকিস্তানের ফোর স্টার জেনারেল পদে উন্নিত হন ১৯৯৮ সালে। এরপরই ১৯৯৯ সালের রক্তক্ষয়ী কার্গিল যুদ্ধ। যে যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসাবে উঠে আসেন পারভেজ মুশারফ। যুদ্ধে ভারতের হাতে পাকিস্তান নাস্তানাবুদ হয়। এরপরই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ে। শেষে পাক রাজনীতিতে তুফান এনে সেনা অভ্যুত্থান হয়। প্রেসিডেন্ট হন পারভেজ মুশারফ। এরপর অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বহু বার শান্তি আলোচনায় বসেন পারভেজ মুশারফ। কার্গিল যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সস্ত্রীক আসেন ভারতে। এদিকে, পাক রাজনীতির ঘূর্ণাবর্তে ততদিনে দুর্বল হতে শুরু করে পারভেজ প্রশাসন। শেষে ২০০৮ সালে ইম্পিচমেন্ট থেকে রেহাই পেতে তিনি ইস্তফা দিয়ে পাড়ি দেন লন্ডনে। পরে ২০১৩ সালে নির্বাচনে অংশ নিতে পাক মাটিতে এলেও তা সম্ভব হয়নি। ততদিনে বেনজির হত্যাকাণ্ডে তাঁর নামে অভিযোগ ওঠে। এরপর দুবাই রওনা হতেই তাঁকে 'পলাতক' তকমা দেয় পাক কোর্ট। বিভিন্ন রাজনৈটিক পাকদণ্ডী পথ কাটিয়ে অসুস্থ হতে থাকেন মুশারফ। এরপরই রবিবার তাঁর প্রয়াণ সংবাদ উঠে আসে।