এমনটা নয় যে, ওয়াংখেড়ের পিচে চেন্নাইয়ের বাইশগজের মতো রান তোলা কঠিন। মুম্বইয়ে খেলা হলে ১৭০-১৮০ রানে অনায়াসে উঠে যাচ্ছে স্কোরবোর্ডে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কলকাতার শেষ ম্যাচেই দু'দল ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। তবে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে স্কোরবোর্ড বড় রান তুলতে ব্যর্থ হয় কেকেআর। যার মাশুল দিতে হয় তাদের। রাজস্থান রয়্যালস ছোটখাটো লক্ষ্য অনায়াসে তাড়া করে মুরশুমের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়। পাঁচ ম্যাচে কলকাতাকে হারতে হয় চতুর্থবার।
মুম্বইয়ে প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৩ রান তোলে। শুরু থেকে ধারাবহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকায় পার্টনারশিপ গড়তে ব্যর্থ হয় কেকেআর। বিশেষ করে ক্রিস মরিস ২৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে কলকাতাকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি। রাহুল ত্রিপাঠী কেকেআরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান ধীরে সুস্থে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় রয়্যালস। ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। বরুণ চক্রবর্তী ২টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন মরিস।