পৃথিবীর কিছু দেশ ও স্থান আছে যেখানকার মানুষ অনেক দিন বাঁচে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে মানুষ তার আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে।
কিছু স্থানের পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাস মানুষদের আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছে। জন্মের পর কোন দেশ বা অঞ্চলের মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল কত হতে পারে, তার একটি তালিকা করেছে আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)।
ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকে উঠে এসেছে সেই তালিকা। এখানে সেরা ৫টি দেশের খবর জেনে নিন-
মোনাকো- এর জনসংখ্যা মাত্র ৩৮ হাজার ৬৯৫ জন। মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৯ বছর ৪ মাস। বিশ্বের এই দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশে মানুষ সবচেয়ে বেশিকাল বাঁচবে বলে আশা করা হয়।
জাপান- এ দেশের মানুষ যে অনেক দিন বাঁচে তা সবাই জানেন। জনসংখ্যা ১২ কোটি ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৫৪। সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৫ বছর ৩ মাস। এ দেশের মানুষ সুস্থ-সবলভাবেই ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচে, জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সিঙ্গাপুর- ছোট একটি দেশ। জনসংখ্যা ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৯০১। তাদের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৫ বছর ২ মাস। সুস্থ জীবনযাপন তাদের আয়ু বৃদ্ধি করেছে।
সান ম্যারিনো- জনসংখ্যা ৩৩ হাজার ৫৫৭। আর সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৩ বছর ৩ মাস। ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক জানায়, এখানকার মানুষ গড়ে ৮৩ বছর ৩ মাস বেঁচে থাকার আশা করতে পারেন।
আইসল্যান্ড- প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফুটবল খেলতে আসা দেশটির জনসংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮০। এখানকার মানুষের সম্ভাব্য আয়ুষ্কাল ৮৩ বছর ১ মাস। সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার অভ্যাসই তাদের এই আয়ু দিয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আবার অনেকের মতে, জেনেটিক বিষয়ও রয়েছে এখানে।