Hindustan Times
Bangla

আট বিজ্ঞানী যাঁরা আমাদের পৃথিবীকে পাল্টে দিয়েছেন

আইজ্যাক নিউটন :আধুনিক বিজ্ঞানের জনক তিনি। মেকানিক্স, অপটিক্স, থার্মোডাইনামিক্স এবং পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি শাখায় তাঁর অবদান। ১৭ শতকে তাঁর এই অবদান বিজ্ঞানকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর বিখ্যাত গতির সূত্র, মহাকর্ষের আবিষ্কার মানবসমাজকেই বদলে দিয়েছে। 

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন: বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত বিজ্ঞানী তিনি। তাঁর বিখ্যাত আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্স আধুনিক পদার্থবিদ্যার মূল ভিত্তি। ফটোইলেক্ট্রিক এফেক্টের তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

মারি কুরি:  পোলিশ পদার্থবিদ এবং রসায়নবিদ মারি সোলোমেয়া স্ক্লোডোস্কা কুরিকে  তেজস্ক্রিয়তার জননী বলা হয়। তিনিই প্রথম নারী যিনি নোবেল পুরষ্কার জিতেছিলেন এবং একইসঙ্গে একমাত্র মহিলা যিনি এটি দু'বার জিতেছিলেন। WWI চলাকালীন, তিনি ফিল্ড হাসপাতালে এক্স-রে পরিষেবা প্রদানের জন্য মোবাইল রেডিওগ্রাফি ইউনিট তৈরি করেন। আমাদের পৃথিবী অনেকটাই বদলে দিয়েছেন মারি কুরি।

নিকোলা টেসলা - আধুনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার নকশায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। নিকোলা টেসলা শুধু প্র্যাকটিক্যাল করে, ডিগ্রী ছাড়াই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলেন। ২০ শতকের গোড়ার দিকে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং উদ্ভাবন বিদ্যুতের বিষয়ে আমাদের জ্ঞানই পাল্টে দিয়েছে।

স্টিফেন হকিং: 'থিওরি অফ এভরিথিং'-এর মাধ্যমে পদার্থবিদ্যার আধুনিক যুগের সূচনা করেন এই তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী মনে করা হয়। তাঁর ব্ল্যাক হোল নিয়ে গবেষণা মহাবিশ্ব ও পদার্থবিদ্যার গবেষণার এক নয়া দিগন্ত উন্মুক্ত করেছে। 

সত্যেন্দ্রনাথ বসু: নিঃসন্দেহে সেরা ভারতীয় গণিতবিদ এবং পদার্থবিদদের মধ্যে তিনি অন্যতম। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের উপর তাঁর কাজ, বোস কনডেনসেট তত্ত্বের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। পদার্থের পঞ্চম অবস্থা, বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট নামে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে আজও পদার্থবিদরা এই তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করছেন। সর্বকালের সেরা বাঙালিদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

চার্লস ডারউইন: বিবর্তনবাদের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে যুগান্তকারী ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর বই 'অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিসে' বিবর্তন তত্ত্বের প্রমাণ তুলে ধরেন তিনি। 

রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন: রোজালিন্ড DNA ডাবল হেলিক্স আবিষ্কার করেন। ডিএনএর এক্স-রে চিত্রের বিষয়ে কাজের কারণে তিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি আরএনএ, ভাইরাস, কয়লা এবং গ্রাফাইটের আণবিক গঠন বোঝা এবং ডিএনএ ঘনত্ব আবিষ্কারের কাজের জন্যও পরিচিত। ওভেরিয়ান ক্যান্সারের কারণে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মানবজাতি তাঁকে হারায়। 

ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান। টাটকা মাছ, ফল, লেবু, শাক-সবজি প্রাণ ভরে খান। 

ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান। টাটকা মাছ, ফল, লেবু, শাক-সবজি প্রাণ ভরে খান।