শীতে গাছ ভরে ফুল চান? সেপ্টেম্বর মাসেই লাগান এই ৫ গাছের বীজ
শীত মানেই পিকনিক, চিড়িয়াখানা আর নিকোপার্ক। তবে শীতের আরেক মজা কিন্তু গাছ ভরা বাহারি ফুলে।
আপনি যদি আপনার বাড়ির বাগানে, ছাদে অথবা ব্যালকনিতে ভরে ভরে ফুল চান শীতকালে, তবে সেপ্টেম্বর মাসেই লাগিয়ে নিতে হবে বীজ।
এখন থেকে উঠেপড়ে লাগলে আপনিও নভেম্বর মাসের শেষ বা ডিসেম্বর থেকে গাছ ভরে ফুল পাবেন।
দেখে নিন, গোটা শীত ফুল পেতে সেপ্টেম্বরে কোন কোন বীজ বপন করা সবচেয়ে ভালো হবে।
গাঁদা: শীতে গাঁদা ফুলের মাপ যেমন বিশাল হয়, তেমন রঙেও চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। বিভিন্ন জাতের গাঁদার বীজ কিনে সেপ্টেম্বর মাসেই লাগিয়ে নিন।
পিটুনিয়া: শীতের আরেক জনপ্রিয় ফুল হল পিটুনিয়া। এই গাছও ডিসেম্বর থেকে মার্চ অবধি ফুল দেয়। সেপ্টেম্বরই বীজ লাগানোর আদর্শ সময়।
ডায়ান্থাস: গাছ ভরে ফুল চাইলে লাগাতে পারেন ডায়ান্থাস বা বেবি ডল গাছের বীজ। লাল, সাদা, বেগুনি, গোলাপি, রানি-- বিভিন্ন রঙের ছোট ছোট ফুলে ভরে থাকে গাছ। যা দেখতে অসাধারণ সুন্দর হয়।
প্যানজি: এই ফুলগুলো দেখতে অনেকটা প্রজাপতির পাখনার মতো। একই ফুলে নানা রঙের বাহার দেখা যায়। এই ফুলগুলি নিজের বর্ণের কারণে মৌমাছি ও প্রজাপতিও আকর্ষণ করে খুব।
কসমস: যদি চান শীতে আপনার বাড়ির বাগানে বা ছাদে ভরে থাকবে প্রজাপতিতে, তাহলে লাগান কসমস। লাল, হলুদ, কমলা, বেগুনি, সাদা রঙের কসমসের বীজ পাবেন আপনি বাজারে।
বীজ থেকে গাছ লাগানোর উপায়: সম পরিমাণে কোকোপিট আর ভার্মি কম্পোস্ট মিশিয়ে নিন। এবার ছোট ছোট কাগজের কাপের নীচে সেফটি পিন দিয়ে ছিদ্র করে নিন। তাতে এক তৃতীয়াশ তৈরি করে রাখা মিশ্রণ দিন। এবার ১টি বা দুটি বীজ দিয়ে উপর থেকে পাতলা স্তর করে দিয়ে দিন কোকোপিট।
হাত দিয়ে হালকা চেপে দেবেন কোকোপিট। যাতে বীজ জল দেওয়ার সময় সরে না যায়। একটি বোতলের ঢাকনায় ছোট ছোট ছিদ্র করে তা দিয়ে জল দিন। খেয়াল রাখবেন বীজ তখনই অঙ্কুরিত হবে, যখন কোকোপিট সবসময় হালকা ভেজাভেজা থাকবে।
সাধারণত ১০-১৫ দিনের মধ্যে বীজ অঙ্কুরিত হয়ে পাতা বেরনো শুরু করে দেয়। ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে আপনি বড় টবে গাছ প্রতিস্থাপন করতে পারবেন।