Hindustan Times
Bangla

ফুকুশিমার মাছে কি রয়েছে তেজস্ক্রিয়?

বৃহস্পতিবার থেকে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পরিশোধন করা জল ছাড়তে শুরু করা হয়েছে। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে এই জলে থাকা মাছ কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে। প্রশ্ন রয়েছে সেই জল পান বা ব্যবহার কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে।

জাপানের মৎস দফতর এদিন সাফ জানিয়েছে যে, ফুকুশিমার মাছে মেলেনি কোনও তেজস্ক্রিয়ের চিহ্ন।  

জাপান জানিয়েছে, ট্রিটিয়াম বাদে সমস্ত তেজস্ক্রিয়কে পরিশোধন করে তবে ওই জল ছাড়া হবে। ওই ট্রিটিয়াম জলে মিশে যায় । তবে আজ জাপানের মৎস্যদফতর জানিয়েছে, এলাকার জলের মাছে ট্রিটিয়াম মেলেনি।

শুক্রবার দেখা গিয়েছে, পরমাণু  বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরের কাছে প্রতি লিটার জলে ১০ বেকুরুলস ট্রিটিয়াম পাওয়া গিয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু এর মতে, এর সর্বোচ্চ সীমা হল, পানীয় জলে ১০ হাজার বেকুরুলস ট্রিটিয়াম। বলা হচ্ছে, তার থেকে অনেকটাই কম পরিমাণ ট্রিটিয়াম প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া যাচ্ছে ওই পরমাণু কেন্দ্রের সংলগ্ন জলে।

জাপান বলেছে যে গলিত জ্বালানি অপসারণ সহ ফুকুশিমা দাইচি প্ল্যান্টকে নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে এই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

এদিকে, জাপানের পদক্ষেপে বেশ খানিকটা সতর্ক চিন। তারা ইতিমধ্যেই জাপানের সমস্ত জলজাত খাবার চিনের ভিতরে নিষিদ্ধ করেছে।

জাপানের পদক্ষেপেরও ব্যাপক সমালোচনা করেছে চিন। এদিকে, হংকং ও ম্যাকাও একই পথ নিয়েছে।

জাপানের ১০ টি অঞ্চল থেকে হংকং ও ম্যাকাও খজলজ খাবার , সবজি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।

জাপানের রাজধানী ২২০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পূর্ব উপকূলে পারমাণবিক কেন্দ্রটির অবস্থান।

পারমাণবিক কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জাপানি সংস্থা টেপকো। তারা বলছে, টিট্রিয়াম বাদে যে সমস্ত তেজস্ক্রিয় পরিশোধন করে ছাড়া হচ্ছে জল, তা বিপজ্জনক স্তরের অনেক নিচে।