অনেকেই বলেন একটি পাকা চুল তুলে দিলে তার আশপাশে আরও অনেক চুল পেকে যায়। কথাটি কি ঠিক?
অকালেই চুল পেকে যায় অনেকের। একটা-দুটো চুল পাকলে অনেকেই, সেই চুল টেনে তুলে দিতে শুরু করেন। কিন্তু এই অভ্যাস অত্যন্ত খারাপ বলেই মনে করেন অনেকে। কারণটি কী?
অনেকেই মনে করেন, একটি পাকা চুল টেনে তুললে তার গোড়া থেকে যে রস বেরোয়, তা থেকে আশপাশের অনেকগুলি চুল পেকে যেতে পারে। তাই নিষেধ করা হয় পাকা চুল টেনে তুলতে। কিন্তু কথাটি কি ঠিক?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই দাবি একেবারেই ঠিক নয়। পাকা চুল তুললে মোটেই তার গোড়া থেকে এমন কোনও রস বেরোয় না, যাতে আশপাশের চুল পেকে যেতে পারে। তাহলে কি যথেচ্ছ পাকা চুল টেনে তুলে দেওয়া উচিত?
সেটিও মোটেই ঠিক অভ্যাস নয়। তাও বলছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এতে চুল না পাকলেও, চুলের অন্য ক্ষতি হতে পারে। কী সেই ক্ষতি?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাকা হোক বা কাঁচা— যে কোনও চুলই চেনে তোলা হলে তার ফলিকল ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। এর ফলে ওই জায়গায় নতুন চুল গজালে, তাদের অবস্থা খুব ভালো হয় না। সেগুলি প্রথম থেকেই খুব রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
শেষ এখানেই নয়। পাকা চুল টেনে তোলা হলে মাথার তালুর অনান্য ক্ষতি হয়, তার প্রভাব পড়ে চুলের গোড়াতেও। ফলে অন্য এক সমস্যা হাজির হতে পারে। কী সেই সমস্যা?
দেখা গিয়েছে, এই অভ্যাসের কারণে নতুন চুল গজানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ফলে অকালেই টাক পড়ে যেতে পারে কারও। চুল না পাকলেও এই সমস্যা ডেকেই আনতে পারে পাকা চুল টেনে তোলার অভ্যাস।
তাই বিজ্ঞানীদের গোড়ার কথা শুনে যাঁরা ভাবছিলেন, পাকা চুল টেনে তুললে আসলে তো কোনও ক্ষতিই নেই, বরং বেশ আরাম হতে পারে, তাঁরা একেবারেই ঠিক ভাবছিলেন না।
এর ফলে চুল হয়তো বেশি মাত্রায় পাকবে না, কিন্তু এমন অবস্থা হতেই পারে, এই অভ্যাসের কারণে পাকার জন্য মাথায় আর কোনও চুলও পড়ে থাকবে না। মাথা জুড়ে টাক পড়ে যাবে।