কালো বিড়াল রাস্তা কাটল আচমকা! কেন এটিকে অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়?
শাস্ত্রমতে, কালো রং শনিদেবের রং। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কালো বিড়াল রাস্তা কেটে যাচ্ছে মানে শনিদেব আসন্ন বিপদের আগাম সংকেত দিচ্ছেন। কাজেই, চালক দাঁড়িয়ে যান। অন্য কেউ সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পর তবেই চালক যান। এর অর্থ হল, অশুভ সবকিছু সেই ব্যক্তি বা জন্তুর মধ্যে চলে গিয়েছে।
Image Source From unsplash
ভূতের সিনেমা বা গল্পেও প্রেতাত্মা, অশুভ আত্মা বা ডাইনির ভূমিকায় কালো বিড়ালের দেখা মেলে! সেই কোন যুগ থেকে কালো বিড়ালকে অশুভ মানা হয়!
Image Source From unsplash
এখন প্রশ্ন হল, সত্যি কি কালো বেড়াল রাস্তা কাটলে তা অশুভ ইঙ্গিত বহন করে আনে?
Image Source From unsplash
আগেকার সময়ে, গরুর গাড়ি বা ঘোড়ায় ভ্রমণ করা হত। বন্য পথে যাওয়ার সময় বিড়াল প্রজাতির প্রাণীদের মুখোমুখি হতে হত। তাদের দেখে বলদ ও ঘোড়াগুলো ভয় পেয়ে থেমে যেত। বিশেষ করে, অন্ধকারে। কালো বিড়ালের চোখ দুটোই শুধু দেখা যেত চকচক করত। ফলে ভয়ে যাতায়াত ব্যাহত হত। এজন্য মনে করা হয়, বিড়াল প্রজাতির প্রাণীর সম্মুখীন হলে তা অশুভ লক্ষণ।
Image Source From unsplash
বিড়াল যদি বারবার কাঁদে তবেও অনেকে মনে করে, কিছু সমস্যা হবে। বিশ্বাস করে, শিগগিরই খারাপ কিছু ঘটবে।
Image Source From unsplash
শুনলে অবাক হবেন, জাপানে কালো বিড়াল অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। কালো বিড়াল মানেই শুভ বিবাহ, ভাল ফসল এমনকি যে কোনো শুভ কাজেই বিশাল সাফল্য।
Image Source From unsplash
এখানেই শেষ নয়! একসময় ইংল্যান্ডের কিছু অংশে জাহাজে কালো বিড়ালকে শুভ মানা হয়। যদি জাহাজে কোনো কালো বিড়াল উঠে আসত, তার অর্থ মনে করা হত, বিড়ালটি সঙ্গে করে ভালো ভাগ্য নিয়ে আসছে। পাশাপাশি বিশ্বাস করা হত, যাত্রাপথে বিড়ালটিই যাত্রীদের সবরকম বিপদ থেকে বাঁচাবে।
Image Source From unsplash
মনে রাখতে হবে, এগুলো সবই শুধুই বিশ্বাস। এসব কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাসের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এর কতটুকু সত্য তা প্রমাণ করা অসম্ভব।