TMC Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে গুলি, দলের ৩ কর্মীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল, গ্রেফতার ২

হাওড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে গুলি, দলের ৩ কর্মীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল, গ্রেফতার ২। গ্রেফতার আরও বাড়তে পারে।

হাওড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে গুলি, দলের ৩ কর্মীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল, গ্রেফতার ২

হাওড়ার বাঁকড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলে দল। তিনজনেকই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এঁরা তিনজন হলেন, শেখ সাজিদ, ভোলা চক্রবর্তী এবং আজাহার লস্কর। এঁদের মধ্যে ভোলা চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোল বাঁকরা তিন নম্বর পঞ্চায়েতে অঞ্চল সভাপতি ছিলেন।

হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ বলেন,'পঞ্চায়েত অফিসে গুলি চালানোর ঘটনায় দল ইতিমধ্যেই তিনজনকে সাসপেন্ড করেছে।' বিধায়ক জানিয়েছেন, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই গুলি চালানোর ঘটনা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ সাজিদ বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর শাস্তির ব্যবস্থা হবে।'

পুলিশ কী বলছে

এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসিপি (সাউথ) বিশ্বজিৎ মাহাতো। তিনি বলেন, 'দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের নাম ভোলা চক্রবর্তী এবং নবাব। তাঁদের আজ হাওড়া জেলা আদালতে পাঠানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে।' তবে যারা গুলি চালিয়েছিল, তারা এখনও ধরা যায়নি। পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে।

কী ঘটেছিল

বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ ঢেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাঁকড়া-৩ পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে তিন জন দুষ্কৃতী। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই গুলি চালায় তারা। কারো গায়ে সরাসরি গুলি না লাগলেও এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা-সহ মোট দু’জন জখম হয়েছেম। পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে তিনি টেবিলের তলায় ঢুকে পড়েন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাদের শুক্রবার হাওড়া জেলা আদালতে হাজির করানো হয়।

পদে না থেকে কোটি টাকা দুর্নীতি

কোনও পদে না থেকেও পঞ্চায়েতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করে করেছে শেখ সাজিদ। তৃণমূলের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিল। দলকে কাজে লাগিয়ে জমি কেনাবেচা, প্রোমোটিংয়ে টাকা লাগনো, তোলাবাজি সব কাজই করত সে। সাজিদ পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকির জামাইবাবু। তাঁর পদকে কাজে লাগিয়েও টাকা লুটত সে। যদিও সাজিদ জানিয়েছে, সব অভিযোগ মিথ্যা। তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।