জিম করতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ব্যক্তি। কাশী থেকে প্রকাশ্যে এসেছে হৃদয়বিদারক খবর। এখানকার সিধগিরি এলাকায়, ৩২ বছরের এক যুবক জিমে ব্যায়াম করছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছিল তাঁর, এরপর তা সহ্য করতে না পেরে মেঝেতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে পুরো জিমে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। আশেপাশের ব্যায়াম করছিলেন অনেকেই। জিমে উপস্থিত লোকজন সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। মাটিতে পড়ে থাকা যুবকের সিসিটিভি ফুটেজ বর্তমানে সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, চেতগঞ্জের পিয়ারী এলাকার বাসিন্দা দীপক গুপ্ত বডি বিল্ডিংয়ের কাজ করতেন। দীপক গুপ্ত, ১০ বছর ধরে জিমে হিট করছিলেন এবং বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দীপক। তবে গত কয়েকদিন ধরে তিনি বেশ নীরব থাকতে শুরু করেছিলেন। প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে জিমে যেতেন। পয়লা মে ব্যায়াম করছিলেন তিনি ।দীপকের বন্ধুরা জানিয়েছেন, চেতগঞ্জের বাসিন্দা দীপক গুপ্ত যথারীতি সকাল সাড়ে ৯টায় জিমে পৌঁছে ব্যায়াম শুরু করেছিলেন এদিন। দীপকের হঠাৎ মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়েছিল এবং নীচে পড়ে গিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। দীপককে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে আশপাশের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। বন্ধু শিবম যাদব তাঁকে মহমুরগঞ্জের গ্যালাক্সি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, দীপকের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
- ব্যায়াম করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে
বলা হচ্ছে, ব্যায়ামের সময় ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন দীপক। হৃৎপিণ্ডের আকার বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের সমস্যা হয় বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক। দীপকের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। কমবয়সী এই যুবকের মৃত্যুর পর পরিবারের কান্না থামছে না। জানা গিয়েছে, মণিকর্ণিকা ঘাটে দীপকের দাহ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে হার্ট-অ্যাটাকের ইতিহাস বা কার্ডিওমেগালি থাকলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো বেশি প্রকাশ পায়—
১) বুকব্যথা
২) বুক ধড়ফড় করা
৩) খাবারে অরুচি
৪) রাতে ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে ওঠা
৫) হাত-পা ও মুখ ফুলে যাওয়া
৬) হঠাৎ জ্ঞান হারানো।