জেডিএস নেতা এইচডি রেভান্নাকে এবার নিজেদের হেফাজতে নিল SIT আধিকারিকরা। বিশেষ তদন্তকারী টিম তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেআর নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল বেঙ্গালুরুর বিশেষ তদন্তকারী টিম।
এক মহিলার সন্তান এই অভিযোগ করেছিলেন।
এইচডি রেভান্না ও তার সঙ্গী সতীশের বিরুদ্ধে ওই মহিলার পুত্র এই অভিযোগ করেছিলেন। কর্ণাটক পুলিশ তাদের খুঁজছিল। এদিকে এই এইচডি রেভান্নার পুত্র প্রজ্জ্বল রেভান্না আবার ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত।
ওই মহিলা পাঁচ বছর ধরে রেভান্নার বাড়িতে কাজ করতেন। তিন বছর আগে তিনি ছেড়ে যান। তাঁর পুত্রের দাবি, গত ২৬ এপ্রিল সতীশ তাকে তুলে নিয়ে যান। এরপর ফের তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ২৯ এপ্রিল ফের তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।
এদিকে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি নিম্ন আদালতে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা নাকচ হয়ে যায়। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর জানান, কেন তাকে অপহরণ করা হয়েছিল? প্রজ্জ্বল রেভান্নার সম্পর্কে অনেক কিছু আমরা জানি না। তারা কি এফআইআর করতে বাধা দিচ্ছিলেন?
তিনি আরও জানিয়েছিলেন এই আবেদনকারী অত্যন্ত প্রভাবশালী। তিনি হুমকি দিতেন। আমরা বুঝতে চাইছি যে এটা শুধু ওই একজনের সঙ্গে হয়েছে নাকি আরও কারোর সঙ্গে হয়েছে।
কর্ণাটকের স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম বিধায়কের ছেলের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে। এবার তাঁরা বাবার বিরুদ্ধেও লুক আউট নোটিশ জারি করেছিল। প্রসঙ্গত প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিয়োতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছিলেন যে হাসানের জেডিএস এমপি প্রোজ্জ্বল রেভান্না অন্তত ৪০০জন মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। এরপর তাদের ভিডিয়ো বানিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া দরকার। কারণ তিনি এমন মানুষের হয়ে ভোট চেয়েছিলেন।
রাহুল বলেন, মোদীর ক্ষমা চাওয়া দরকার। কারণ ওই ব্যক্তি একের পর এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছে। আর তার পক্ষেই ভোট চেয়েছেন মোদী।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তিনি একাধিক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করেছেন। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তে নেমে স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম তৈরি করেছে। এদিকে ওই এমপির কিছু ভিডিয়ো ইতিমধ্য়েই ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চারদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।