'স্বামী ধর্ষণ করছে ২২ বছরের তরুণীকে, ভিডিয়ো তুলে নিয়ে টাকা চাইল বিউটিশিয়ান'

অভিযুক্ত ৩৬ বছরের বয়সি মহিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। সে নির্যাতিতা তরুণীকে আগে থেকেই জানত। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব রয়েছে। তরুণী একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করেন। তাদের বাড়িও কাছাকাছি অবস্থিত।

তরুণীকে ধর্ষণ স্বামীর, দৃশ্য রেকর্ড করল স্ত্রী, টাকা হাতাতে জঘন্য কাণ্ড দম্পতির। প্রতীকী ছবি

মুম্বইয়ে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে। এক তরুণীকে বাড়িতে ডেকে পানীয়র সঙ্গে মাদক মিশিয়ে ধর্ষণ করল এক যুবক। আর সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করল ওই যুবকের স্ত্রী। তারপরে ওই মহিলা সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিদের তরুণীর কাছে টাকা দাবি করল। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের মালওয়ানি থানা এলাকায়। এই অভিযোগে পুলিশ মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক মহিলার স্বামী। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ৩৬ বছরের বয়সি মহিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। সে নির্যাতিতা তরুণীকে আগে থেকেই জানত। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব রয়েছে। তরুণী একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করেন। তাদের বাড়িও কাছাকাছি অবস্থিত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার মহিলা ওই তরুণীকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠায়। এরপর নির্যাতিতা তরুণী অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে যান। সেখানে তরুণীকে মদ্যপানের প্রস্তাব দেয় মহিলা। কিন্তু, মদ্যপান করার পরেই তরুণী অচেতন হয়ে যান। আর এরপর অভিযুক্ত মহিলার স্বামী তাকে ধর্ষণ করে বলে বলে অভিযোগ।

এদিকে, তরুণীর জ্ঞান ফেরার পর তিনি বুঝতে পারেন যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হয়েছে। পরে অভিযুক্ত দম্পতি ভিডিয়োটি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নির্যাতিতা তরুণীর কাছে ১০,০০০ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। তবে তরুণী টাকা দিতে অস্বীকার করলে অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করে।

ঘটনার একদিন পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে তিনি মালওয়ানি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেন। ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ৩৬ বছর বয়সি বিউটিশিয়ানকে গ্রেফতার করে। তার স্বামী পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, দম্পতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, মারধর, হুমকি, অপরাধমূলক ভয় দেখানো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘নির্যাতিতার গোপনীয়তা লঙ্ঘনের জন্য তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬ ই ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া, টাকা দিতে অস্বীকার করার জন্য নির্যাতিতাকে মারধর করা হয়েছিল। সেই কারণে মারধর করার ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তোলাবাজির ধারা যুক্ত করা হয়েছে।’