গৌতমবুদ্ধ নগর লোকসভা কেন্দ্রটি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর এবং গৌতমবুদ্ধ নগর জেলা জুড়ে বিস্তৃত। এই লোকসভা কেন্দ্রটি তুলনামূলকভাবে নবীন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে এই কেন্দ্রটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উত্তরপ্রদেশের নয়ডা, দাদরি, সেকন্দ্রাবাদ, খুরজা, জেওয়ার এই পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রের সমন্বয়ে গৌতমবুদ্ধ নগর লোকসভা কেন্দ্রটি গঠিত। ২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির মহেশ শর্মা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রটিতে বিএসপির সুরেন্দ্র সিং, বিজেপির প্রার্থী ডঃ মহেশ শর্মাকে ২ শতাংশের কিছু বেশি ভোটে পরাজিত করেন।
এই কেন্দ্রটি একেবারেই দিল্লি সংলগ্ন। ফলে দিল্লির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব এই কেন্দ্রতেও থাকে। স্বাভাবিকভাবেই মোদী ফ্যাক্টরই মহেশ শর্মাকে জিতিয়ে দেবে, সেই আশাই করছেন বিজেপি কর্মকর্তারা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন কংগ্রেস করা মহেন্দ্র সিং নাগর এবার সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী এই কেন্দ্র থেকে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির হয়ে লড়াইয়ে আছেন রাজেন্দ্র সিং সোলাঙ্কি। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক, কংগ্রেস ও বিজেপি দুই দলেই ছিলেন অতীতে। ফলে এই তিন বরিষ্ঠ নেতার লড়াই যে নিশ্চিত ভাবেই চিত্তাকর্ষক হবে তা বলাই যায়। তবে ধারে ও ভারে মহেশ শর্মা নিশ্চিত ভাবেই এগিয়ে। এলাকায় তাঁর প্রতিপত্তি আছে, তিনি একাধিক হাসপাতালও চালান। ফলে নয়ডার মত শহুরে অঞ্চলে যে বড় লিড তিনি আশা করবেন, এটা বলাই যায়।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ডঃ মহেশ শর্মা ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। বিএসপির ভোট ১৬ শতাংশের বেশি কমে গিয়ে তারা তৃতীয় স্থানে চলে যায়, অন্যদিকে এসপি ১০ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি করে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিজেপির ভোট শতাংশ আরও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ডঃ মহেশ শর্মা দ্বিতীয়বারের জন্য এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে। বিএসপির প্রার্থী সাতবীর নগর ৩৫.৫ শতাংশ ভোট পান। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গৌতম বুদ্ধনগর লোকসভা কেন্দ্রটির অন্তর্গত বিধানসভা ক্ষেত্র গুলির গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। নয়ডা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী পঙ্কজ সিং জয়ী হন। দাদরি, জেওয়ার, সেকেন্দ্রাবাদ, খুরজা এই প্রতিটি ক্ষেত্রেই যথাক্রমে ভারতীয় জনতা পার্টির তেজপাল সিং, ধীরেন্দ্র সিং, লক্ষ্মীরাজ সিং এবং মিনাক্ষী সিং বিধায়ক নির্বাচিত হন।