লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে কংগ্রেস – তৃণমূল ও বিজেপিকে একই আসনে বসিয়ে আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। রবিবার বহরমপুরে দলীয় প্রার্থী চিকিৎসক নির্মল সাহার সমর্থনে প্রচারে এসে রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতেরও ডাক দেন তিনি। এদিন জেপি নড্ডার মুখে শোনা যায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে অস্ত্রের সঙ্গে কার্তুজের বিল হাতে পেলে CBI, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা
পড়তে থাকুন: বেআইনি অস্ত্রের খবর কেন ছিল না পুলিশের কাছে? প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরেই
তৃণমূলকে আক্রমণ
এদিন ‘মা - মাটি - মানুষ’ স্লোগানকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন জেপি নড্ডা। তিনি বলেন, ‘শুধু নির্মল সাহাকে জেতালেই হবে না, মমতাজি কেও বলে দিতে হবে কী ভাবে তাঁর কুশাসন চলছে। মমতাদি মা, মাটি, মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের মায়েরা কি নিরাপদ? এই বাংলায় সন্দেশখালির ঘটনা ঘটেছে। নারী নির্যাতন হয়েছে। মহিলাদের সম্ভ্রম নিয়ে ছেলেখেলা হয়েছে। তার পরেও শাহজাহান শেখকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছেন মমতাদি। তাই বলছি, মাকে নিয়ে ওনার কোনও মাথা ব্যাথা নেই। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা সুরক্ষিত নন এটা অত্যন্ত বেদনার বিষয়। তাদের সম্ভ্রম সুরক্ষিত নয়। তৃণমূলের কর্মীরা, যারা কর্মী কম আর গুন্ডা বেশি, তারা গরিবের জমি দখল করেছে। এটাই এদের মাটির প্রতি বিশ্বস্ততা। এখানে টাকা না দিলে কোনও কাজ হয় না। সব জায়গায় শুধু তোলাবাজি চলছে। এই সরকারকে বাংলা থেকে উপড়ে ফেলতে হবে’।
আরও পড়ুন: টোটোচালক থেকে প্রভাবশালী, শাহজাহানের শাগরেদ আবু তালেবকে তন্ন তন্ন করে খুঁজছে CBI
তোষণের অভিযোগ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে
এর পরই সংরক্ষণ ইস্যু তোষণকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন জেপি নড্ডা। তিনি বলেন, ‘ওদিকে কংগ্রেস আপনার অধিকার ছিনিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে কথা বলে। ওরা অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি নমনীয়। অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে এদের কী সম্পর্ক? আমরা এই তোষণের রাজনীতির বিরোধিতা করি। দলিত, আদিবাসী, ওবিসি এদের ভাগে ডাকাতি করে ধর্মের নামে সংরক্ষণ দিয়ে মুসলিম তোষণ করছে কংগ্রেস। কংগ্রেস – সিপিএম – তৃণমূলের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। এরা দেশকে দুর্বল করতে কোনও চেষ্টা বাদ দেয় না’। বক্তব্যের শেষে জেপি নড্ডাকে ‘জয় বাঙ্গাল’, ‘জয় ভারত’ বলতেও শোনা যায়।