চটুল নাচ চলছে। আর সেই মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার উপস্থিতি। এমন একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। আর তা নিয়ে এবার বিষ্ণুপুরে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি–তৃণমূল প্রার্থীরা এই বিষয়ে নিয়ে একে অপরকে সরাসরি আক্রমণ করতে নেমে পড়েছেন। বিজেপি দাবি করেছে, সন্দেশখালির মতো ইন্দাস ব্লকেও একই ঘটনা ঘটেছে। ইন্দাস ব্লকের মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতবিহার বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মনোরঞ্জন নন্দীর একটি নাচের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যদিও সেই ভিডিয়ো’র সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। সেই ভিডিয়ো’তে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই বুথ সভাপতি এক মহিলার হাত ধরে উদ্যম নৃত্য করছেন।
এদিকে সূত্রের খবর, ইন্দাস ব্লকের পঞ্চবটি সেবাশ্রম মেলার একটি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই চটুল নাচের আয়োজন করা হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। সেখানে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হঠাৎ করে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মনোরঞ্জন নন্দী উঠে পড়েন। আর মঞ্চে ওই মহিলার সঙ্গে উদ্যম নৃত্য করতে থাকেন বুথ সভাপতি। বুথ সভাপতির মহিলাদের নিয়ে নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সরব হয় বিজেপি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিজেপির প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের তুমুল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: আট তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে তলব করল এনআইএ, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের জের
অন্যদিকে বিজেপি এটাকে ইস্যু করতে চাইছে। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এই বিষয়ে বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস সব কিছুর শালীনতা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালিতে যেভাবে মা–বোনেদের উপর অত্যাচার করেছে, তাতে ইন্দাসের বুথ প্রেসিডেন্ট অশ্লীলভাবে নৃত্য করবে এটাই তো স্বাভাবিক। তৃণমূল কংগ্রেস দিশা হারিয়েছে। তারা জানে তাদের পয়সা আছে। তাই সব কিছু তারা ভোগ–বিলাসে পুরোপুরি পরিণত করেছে। তাই তারা গ্রামের মহিলাদের কেও ছাড়ছে না। ইন্দাসে যে ঘটনা ঘটেছে আমি ভিডিয়ো’তে দেখলাম সেটা অত্যন্ত লজ্জার।’ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের উদ্দেশ্যে সৌমিত্রের খোঁচা, ‘দয়া করে এই চটুল নাচটা দেখুন তারপর কিছু উত্তর দিন। আজকে যেটা ভিডিয়ো’তে দেখলাম তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যেভাবে অশ্লীল নৃত্য করছে সেটার উত্তর উনি দিতে পারবেন।’
থেমে থাকেননি সুজাতাও। পাল্টা জবাব এসেছে দ্রুত। সমগ্র বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের জবাব, ‘সৌমিত্র খাঁ সারাক্ষণ সুজাতা নামক টেনশনের মধ্যে আবদ্ধ আছেন। তাই তিনি সব কিছুতেই সুজাতার আতঙ্কে ভুগছেন। দেখুন কে কোথায় আনন্দ করবে, মজা করবে, নাচবে, গাইবে সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা নিয়ে দল কথা বলবে। সেটা নিয়ে আমার কথা বলার কিছু নেই। এমন কারো কাছ থেকে মহিলা নিয়ে কথা শুনবো না, চালুনি ছুঁচের বিচার করছেন। যিনি মহিলাকে সারাক্ষণ ভোগ–বিলাসের বস্তু বলে মনে করেন। দেখবেন ওনার চরিত্রই হচ্ছে বারবার দল বদল করা, এবার তিনি স্ত্রী বদল করেছেন। তাই ওনার কাছে আমি কি শুনবো!’