বিজেপি সমর্থক হওয়া ভোটগ্রহণের দিন থেকে গোটা গ্রামে জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা বীরভূমের বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ইলামবাজার ব্লকের মুর্গাবনি গ্রামের।
আরও পড়ুন: যে যত ব্যক্তি আক্রমণ করতে পারবে সে তত বড় তৃণমূল নেতা, কল্যাণকে কটাক্ষ মিঠুনের
পড়তে থাকুন: লোডশেডিং করিয়ে রেজাল্ট পাল্টে দিয়েছিল, আমি আজ না হোক কাল এর বদলা তো নেবই: মমতা
ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বীরভূমে। বিজেপিকে ভোট দিয়েছে সন্দেহে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের ইলামবাজারের খয়েরবুনি গ্রামে জল নিতে দিচ্ছে না তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সন্দেশখালীর মতন করে দেওয়া হবে ইলামবাজারের মুর্গাবনিকে। হুমকি তৃণমূলের। মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ পাল্টা তৃণমূল। ঘটনাস্থলে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।। তৃণমূলের বিরুদ্ধে গ্রামে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।। স্থানীয়দের দাবি, বিজেপি করার অপরাধে ত্রিশটি পরিবারকে পানীয় জল নিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। গত প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে পুকুরের অস্বাস্থ্যকর জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ রবি মুর্মুর নেতৃত্বে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। অভিযোগ সকাল থেকে পানীয় জলের জায়গাগুলিতে বসে থাকছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এমনকী এলাকার পুকুরগুলিতেও পাহারা দিচ্ছে তারা। পাঁচ দিন ধরে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে এই এলাকার বিজেপি সমর্থক আদিবাসী পরিবারগুলি।
এক মহিলা জানান, ভোটের দিন থেকে আমাদের এখানে পাম্পঘরে তালা দিয়ে রেখেছে তৃণমূলি গুন্ডারা। পাম্প না চালাতে পারায় গ্রামে পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না। সাবমার্সিবল পাম্প, পুকুর ঘাটে তৃণমূলের গুন্ডারা বসে রয়েছে। সেখানে গেলেও তাড়া করছে। তৃণমূলের গুন্ডারা বলছে, ওই পাম্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসিয়েছেন, যে দিন মোদী পাম্প বসাবে সেদিন তোরা জল খাবি। এখন মোদীর মু* খা। পুলিশও আমাদের কিছু করতে পারবে না।’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবি মুর্মুর দাবি, যে অভিযোগ সামনে আসছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ।
আরও পড়ুন: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত করে নন্দীগ্রাম গণহত্যা করেছিল অধিকারী পরিবার: মমতা
এদিন ঘটনাস্থলে যান বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পর তিনি বলেন, তৃণমূল আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন করছে। আর পুলিশ বসে বসে সব দেখছে। ৪ জুনটা পার হোক। কত ধানে কত চাল এদের বুঝিয়ে দেব।