বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Anjan Dutt Exclusive: মৃণালদা বকলে গীতাদি আগলাতো, আমার চেয়ে বেশি ওঁকে কোনও অভিনেতা চেনে না: অঞ্জন দত্ত

Anjan Dutt Exclusive: মৃণালদা বকলে গীতাদি আগলাতো, আমার চেয়ে বেশি ওঁকে কোনও অভিনেতা চেনে না: অঞ্জন দত্ত

মৃণালদা বকলে গীতাদি আগলাতো, আমার চেয়ে বেশি ওঁকে কোনও অভিনেতা চেনে না: অঞ্জন দত্ত

Anjan Dutt Exclusive: ‘দত্ত ভার্সেস দত্ততে ৪০% জল আছে। চালচিত্র এখন ছবিটায় কোনও মিথ্যা নেই। বরং আমি কম দেখিয়েছি। চালচিত্রর শ্যুটিংয়ে আমাকে যে কী পরিমাণ বুলি করেছিল….’, অকপটে বললেন অঞ্জন দত্ত। 

মৃণাল সেনের সান্নিধ্য বদল এনেছিল তাঁর ব্যক্তিত্বে। পালটেছিল জীবনদর্শন। নিজের মেন্টর (গুরু শব্দে আপত্তি) মৃণাল সেনের জন্মশতবর্ষে নিজেদের অসমবয়সী বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে অঞ্জন দত্ত তৈরি করেছেন 'চালচিত্র এখন'। ১০ই মে, শুক্রবার একইসঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও সিনেমাহলে মুক্তি পেল এই ছবি। মৃণাল সেনের সঙ্গে অঞ্জন দত্তর প্রথম আলাপ থেকে চালচিত্রর শ্যুটিং শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়টা নিয়েই ‘চালচিত্র এখন’। মুক্তির আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে মেন্টর মৃণাল সেন, নিজের চলচ্চিত্র ভাবনা ও কেরিয়ার নিয়ে অকপটে আড্ডা দিলেন পরিচালক, অভিনেতা, সঙ্গীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত।

জীবনের ৭০টা বসন্ত পেরিয়ে হঠাৎ কেন মনে হল 'গুরু' মৃণাল সেনকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোটা জরুরি?

অঞ্জন দত্ত: গুরু ঠিক নয় জানেন, গুরু শব্দটা আমার ঠিক ভালো লাগে না। উনিও পছন্দ করতেন না। আমরা বন্ধু। অসম বয়স কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। শিল্পীদের জীবনে জানেন তো একজন থাকেন, তাঁর ট্রেনার বা কোচ। সে বউ হতে পারে, বাবাও হতে পারে। কিংবা কোনও নামকরা আইকনও হতে পারে। যে তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। একটা সময় আসে যখন সেই মানুষটার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোটা জরুরি হয়ে পড়ে। ফ্যান হিসাবে নয়, মানুষ হিসাবে। সেটা হল ওই মানুষটার প্রাপ্য। গুরুদক্ষিণা টাইপ টিপিক্যাল একটা ওল্ড ফ্যাশন শব্দ, বলতে চাই না। ওটা হল ওই মানুষটার ডিউস (Dues), আমার জীবনের অনেকটাই যা হয়েছে, আমি যা পেরেছি সেটা মৃণাল সেনের জন্য। অথচ আমার কাজে ওঁর কোনও প্রভাব নেই। এই ছবির মাধ্যমে আমি ওঁনাকে একটা থ্যাঙ্ক ইউ বললাম।

সমালোচকদের মতে ‘চালচিত্র এখন’ পরিচালক অঞ্জন দত্তর সেরা ছবি। বাড়তি চাপ অনুভব করছেন?

অঞ্জন দত্ত: আমার কোনও টেনশন নেই। কাজটা তো করে ফেলেছি। সব কাজেরই মূল্যায়ণ হয়, এটার হবে। আমি নিজের জায়গা থেকে সৎ চেষ্টা করেছি। যদি মন থেকে কিছু করা হয়….আমি জানি না এটা পৃথিবী বিখ্যাত ছবি হবে না, কিন্তু লোকে ভালোবাসাটা বুঝতে পারবে। আমি কনফিডেন্ট। তবে এমন নয়, আই ডোন্ট গিভ এ ড্যাম। আমি দর্শকদের জন্যই ছবিটা করেছি, মৃণাল সেন তো নেই! আমি মানুষটাকে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছি। যাঁরা ওঁনাকে চেনে না, জানে না, চাই তাঁরা জানুক লোকটা কতটা মজার মানুষ ছিল। মন থেকে করেছি, আশা করছি দর্শকের মনে পৌঁছাতে পারব।

চালচিত্র-র জন্য ভেনিস ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত, তারপরেও অভিনেতা হিসাবে জনপ্রিয়তা মেলেনি। বরং গানের জন্য অঞ্জন ফেমাস। সেই নিয়ে মৃণাল সেনের কী প্রতিক্রিয়া ছিল?

অঞ্জন দত্ত: মৃণালদা কোনওদিন বলেনি। বাজারে সেই সময় যেই সব ছবি-টবি চলত উনি পছন্দ করতেন না। উনি খুশি হতেন। আমার খুব খারাপ লাগত, এত কষ্ট করে আমি অভিনয়টা শিখেছি, হয়ত দেখতে ভালো নয়… তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তো দূরের কথা নিদেন পক্ষে অনিল চ্যাটার্জিও হতে পারলাম না। আমার ইচ্ছে ছিল আরেকটা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় হওয়ার। স্টার নয়, অভিনেতা হিসাবে। নাসির যেটা করতে পেরেছে, ওম পুরী যেটা পেরেছে। সেই জন্য আমি শিখেছি। কিন্তু ওইসময়ের মেইনস্ট্রিম বাংলা সিনেমার সঙ্গে আমি কানেক্ট করতে পারিনি। সৌমিত্রদাদের সময় মেইনস্ট্রিম সিনেমা যত ভালো, আর্ট সিনেমাও তত ভালো। ওদিকে আমার সময়ে মেইনস্ট্রিম ছবি শহরে চলছে না। স্যাটেলাইটের সঙ্গে লড়তে পারছে না। গ্রামে-গঞ্জে চলে গিয়েছে, যাত্রামার্কা। আমি আর্ট সিনেমাতেই আটকে রইলাম। বুঝলাম আমার আর হল না। গান গেয়েই আমাকে থাকতে হল। আক্ষেপ থাকত। মৃণালদা আমাকে সবসময় আমাকে এনকারেজ করত। বলত গান গাও, নাটক কর। জীবন নিয়ে উনি খুব সদার্থক ছিলেন। একটা সময়ের পর আমি মেনে নিয়েছিলাম লোকে যদি আমাকে গানের জন্য মনে রাখে তাই রাখুক। যদিও আমি সেটা শিখনি।

মৃণাল সেন আশ্রিত কুণালের চরিত্রে ছবিতে অঞ্জন দত্ত
মৃণাল সেন আশ্রিত কুণালের চরিত্রে ছবিতে অঞ্জন দত্ত

আপনি মৃণাল সেনকে নিয়ে একটা ডকুমেন্ট্রি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন তাঁর জীবদ্দশায়, কিন্তু শেষ করেননি। কেন হল না সেই কাজটা?

অঞ্জন দত্ত: উনি আমাকে বারবার বলেছিলেন তুমি আমাকে এত চেনো আমাকে নিয়ে পার্সোনাল ডকুমেন্ট্রি বানাও। ব্যক্তিগত জায়গা থেকে কাজটা করো। আমি ওঁনাকে ক্যামেরা নিয়ে ফলো করে বেড়াতাম। গান করে টাকা তুলে আমি শ্যুট করেছি, কিন্তু গল্পটা পাইনি। ভাবনাটাই আসেনি। সেই গল্পটা আজ থেকে ২ বছর আগে যখন পেলাম, তখন মনে হল আমাকে নিজের ঋণটা শোধ দিতে হবে। সত্যজিতের জন্মশতবার্ষিকী এসে গিয়েছে। অনীক (দত্ত) ওঁনাকে নিয়ে ছবি করছে। আমি মৃণাল সেনকে নিয়ে কিছু করব না! লোকে আমাকে জুতো মারবে, আমি নিজেই নিজেকে জুতো মারব! ৪৩ বছরের সম্পর্ক আমাদের। তারপর খুঁজে পেলাম গল্পটা। তখন যদি গল্পটা পেতাম তাহলে একটা বিশ্বমানের ডকুমেন্ট্রি বানাতাম। উনি দেখে খুশি হতেন। দুজনে মিলে ফাটিয়ে দিতাম (মুখে হাসির ঝিলিক), হয়ত বার্লিন (ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) বা কোথাউ যেতাম দুজনেই। কিন্তু হল না।

আসলে একটা মানুষকে দূর থেকে দেখতে হবে.. তাঁর ছেলেমানুষি, তাঁর পাগলামি, তাঁর সবকিছু দেখতে হবে। আপনাকে সৎ থাকতে হবে। আমি ওঁনাকে দূর থেকে দেখতে পাইনি। এরপর ২০১৮-য় উনি চলে গেলেন। আস্তে আস্তে আমি ওঁনাকে দূর থেকে দেখা শুরু করলাম। নিজেকেও দূর থেকে দেখতে শুরু করলাম। মৃণাল সেন কেমন অদ্ভূত, ক্রেজি মানুষ ছিলেন। তারপরই বুঝেছি এই অসমবয়সী বন্ধুত্বটাই আমার ডকুমেন্ট্রির থিম হওয়া উচিত ছিল। তারপর সিনেমা বানানোর পরিকল্পনা। নীলকে (ছেলে নীল দত্ত) বললাম পয়সা দাও। আসলে গান গেয়েই তো আমরা টাকা করেছি, সিনেমা করে পারিনি।

জানতে ইচ্ছে করছে, সেই ফুটেজগুলো কি রয়েছে আপনার কাছে?

অঞ্জন দত্ত: না খারাপ হয়ে গেল। আমার সব করে এসি ছিল না তো, কত টাকা ছিল না। নষ্ট হয়ে গেল সব টেপ। আমি চেষ্টা করেছিলাম ওই টেপগুলো রিকভার করার, কিন্তু হল না। সব নষ্ট হয়ে গেছে। দারুণ সব মুহূর্ত ছিল।

'চালচিত্র' ছবির জন্য তো মৃণাল সেন আপনার চুল কেটে দিয়েছিলেন, ট্রেলারেও সেটা রয়েছে।

আমার হিপি-টাইপ চুল ছিল। উনি কেটে দিয়েছিলেন। শ্যুটিং যখন থাকত না আমি আবার ঝাঁকড়া করেই রাখতাম চুলটা। অনেক কিছু নিয়ে আমি রেগে গিয়েছিলাম। জোর করে অভিনয় করাচ্ছে, চুল কেটে দেবে আবার কী! তবে অভিনয়টা ভালো লাগত বলে যা বলত এক টেকে করে দিতাম। যখন শ্য়ুটিং হত না তখন কারুর সঙ্গে মিশতাম না। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে অ্যাটাক করছে, আমি ওঁকে অ্যাটাক করছি।

ছবিতে আছে। পুরোটাই আছে। দত্ত ভার্সেস দত্ততে ৪০% জল আছে। চালচিত্র এখন ছবিটায় কোনও মিথ্যা নেই। বরং আমি কম দেখিয়েছি। চালচিত্রর শ্যুটিংয়ে আমাকে যে কী পরিমাণ বুলি করেছিল কেকে মহাজন (মৃণাল সেনের সিনেমাটোগ্রাফার) লোকে দেখলে আঁতকে উঠবে!

কী ঘটেছিল যদি বলেন…

অঞ্জন দত্ত: আমাকে মদ খাইয়ে বলেছিল, ‘তুমি কে? হু দ্য হেল আর ইউ! খালি মৃণাল সেনকে দাদা! দাদা! আমরা কেউ নই? দু-চারটে ইংরাজি শিখে পণ্ডিত হয়ে গেছো। নিজেকে কী ভাবো অ্যালপ্যাচিনো। সমস্যাটা কী? আমাকে ব়্যাগিং করেছিল। সেই ব়্যাগিংটাও এই ছবিতে (চালচিত্র এখন) রয়েছে। আমি বলছিলাম, আমাকে দেখতে খারাপ। মহাজন আমাকে শিখিয়েছিল বিউটি অফ আগলিনেস। আসলে এই ছবিটা অনেকজনের প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য। অনেকের কনট্রিবিউশন রয়েছে আমাকে ঠিকঠাক জায়গায় নিয়ে আসার পিছনে। মৃণাল সেন ছিলেন সবকিছুর সেন্ট্রাল ফোর্স। কম বকুনি দিয়েছে আমাকে গীতাদি (গীতা সেন), আবার ভালোবেসেছে। মৃণালদা বকলে গীতাদি আগলাচ্ছ, আবার গীতাদি বকলে মৃণালদা সিগারেট খেতে ডাকছে। এই সময় লোকটা খুব মিস করছি। থাকলে মৃণালদা… সেন্টিমেন্ট্যাল তো নয়। এখন থাকলে.. (খানিক থেমে) না, সম্ভব ছিল না। বেঁচে থাকলে এখন কত বয়স হত ১০১! বেটার হি ইজ নট দেয়্যার। মহাজন বড্ড অল্প বয়সে চলে গেল'।

চার-পাঁচদিনের মধ্যে এই ছবির চিত্রনাট্য লেখা। কাস্টিং-এর ভাবনা যখন এল, শুরুতেই কী ভেবেছিলেন কুণালের (মৃণাল সেন আশ্রিত চরিত্র) চরিত্রটা আপনি করবেন?

অঞ্জন দত্ত: আমি অন্য সব অভিনেতাদের চেয়ে ওঁনাকে বেশি চিনি। আমি তো লুক এ লাইক খুঁজছি না, আমি বায়োপিক পছন্দ করি না। এটা তো নিজেদের প্রযোজনা, তাই রিস্কটা নেওয়া যায়। টাকা থাকলে অনেক সময় গুলিয়ে যায়। টাকা নেই বলে আমি পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, এমন একজন হবে যে ভালো অভিনেত্রী। বুদ্ধিদীপ্ত আবার বউ হিসাবেও মানাবে।c

মেন্টর মৃণাল সেনের সঙ্গে অঞ্জন দত্ত
মেন্টর মৃণাল সেনের সঙ্গে অঞ্জন দত্ত

অঞ্জন দত্ত হিসাবে (রঞ্জন চরিত্রে) শাওনকে কাস্ট করার প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল?

অঞ্জন দত্ত: অনেকে আমাকে হেল্প করেছে। নীল (দত্ত) ছবির কো-প্রোডিউসার। ম্যাডলি বাঙালির সময়ও করেছিল। ইনফ্যাক্ট পার্নোকেও বম্বে থেকে ওই খুঁজে বার করেছিল রঞ্জনার সময়। আমি একজন বুদ্ধিদীপ্ত কাউকে খুঁজছিলাম, যার অ্যাটিটিউড হয়েছে, গিটারটা বাজাতে পারে। বায়োস্কোপে নামার জন্য পাগল নয়। আমি সিনেমা করব, এই টাইপের ছেলে আমি চাইছিলাম না। যেটা পাওয়া খুব মুশকিল। সবাই কেমন সিনেমা করার জন্য ন্যাকামি করে যাচ্ছে।

সৃজিত মুখোপাধ্যায় তো মৃণাল সেনকে নিয়ে পদাতিক বানাচ্ছেন, যেখানে চঞ্চল চৌধুরী রয়েছেন মৃণাল সেনের চরিত্রে। আপনি দেখেছেন?

অঞ্জন দত্ত: আমি ছবিটা দেখিনি, তবে কিছু স্টিল (স্থিরচিত্র) দেখেছি। সেটা দেখে কিছু মন্তব্য করা সম্ভব নয়। চঞ্চল দুর্দান্ত অভিনেতা। তাঁরাও নিশ্চয় খেটেখুটে কাজটা করেছে। সৃজিত এই ছবিটা দেখতে খুব উৎসাহী, ফেস্টিভ্যালে ও দেখেনি। আমাকে অন্যভাবে নিও না, অনেকে বড় বড় চলচ্চিত্র পরিচালক রয়েছেন। তবে জন্মশতবর্ষে মৃণাল সেনকে নিয়ে এই উত্তেজনাটা… তিনজন মিলে ছবি করতে নেমে পড়েছে। প্রত্যেকে মৃণাল সেনকে নিয়ে বই লিখে ফেলছে। এত ফেস্টিভ্যাল হচ্ছে। এটা নিয়ে আমি দারুণ হ্য়াপি। কোভিডে সত্যজিৎকে (জন্মশতবর্ষে) ঠিকভাবে সেলিব্রেট করা হয়নি।

পদাতিকে মৃণাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী
পদাতিকে মৃণাল সেনের চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী

বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে একটা অভিযোগ, সত্যজিৎ-মৃণাল-ঋত্বিক ঘটককে ভাঙিয়ে আর ক'দিন? সেটা কীভাবে দেখেন?

অঞ্জন দত্ত: ১০০ বছরে সত্য়জিৎ রায় বা মৃণাল সেন বা ঋত্বিক ঘটক….বাঙালি, ইন্ডিয়া বা ওয়ার্ল্ড ডিজার্ব ফিল্মস অন দেম। কিন্তু সারাক্ষণ ধরে তাঁদেরকে নিয়ে…. আমার মনে হয় তাঁদের থিয়োরিটা নিয়ে চলা ভালো। তাঁদের ভিউ পয়েন্টকে নকল না করে, তাঁদের বিশ্বাসটা নিয়ে এগানো ভালো। আর শুধু ফিল্মমেকার কেন, দর্শকরাও তো একই জিনিস করে চলেছে। বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কিছু ভাবে না কেন, শরৎচন্দ্র তো অনেক বেশি পপ্যুলার। রবীন্দ্রনাথ কেন 'গ্রেটেস্ট', আমি তো মনে করি না। বাঙালি জাতিটা কেমন পিছনে পড়ে আছে। আমরা যদি একটু মর্ডান হতে পারি, ইট উইল হেলপ। বাঙালি তো সবসময় সময়ের আগে থাকত, এখন সবাই অনেক সুরক্ষিত থাকতে চাইছে, তাই সেফ প্লে করছে। এর জন্য মিডিয়াও দায়ী। খালি বলবে সাহিত্য নিয়ে ছবি হয় না, বেশ করছে ছবি হচ্ছে না।

আপনার সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি ব্যোমকেশ তো মৃণাল সেন একেবারেই পছন্দ করেননি। সেটা নিয়ে কী বললেন?

অঞ্জন দত্ত: আমি নিজে, ব্যোমকেশকে খুব নিম্নমানের ছবি বলে মনে করি। ব্যোমকেশ পপ্যুলার, কিন্তু ব্যোমকেশ তো ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো কিছু করেনি। ব্যোমকেশ আমাকে সত্যি জনপ্রিয়তা দিয়েছে। তবে আমি ভুল করেছি। রঞ্জনা, বং কানেকশন যখন করেছি তখন তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছি। কিন্তু ব্যোমকেশটা করে নতুন কিছু দিইনি। ফ্রাইঞ্চাইসিটা চলল বলে আমিও ছবি করতে থাকলাম… পুরো ঘেঁটে ঘ করে দিলাম। আমার মনে হয়, আমি ভুল করেছি। ওই সময়টা ব্যোমকেশ না করে যদি অ্যাডভেঞ্চার্স কিছু করতাম, যদি আজকের যুগের জিনস পরা শ্রীকান্ত (শরৎচন্দ্রের শ্রীকান্তর মর্ডান অ্যাডপশন) করতে পারতাম তাহলে ভালো হত। আমি আমার পরিসরের সিনেমাটাকে পিছিয়ে দিয়েছি। এটা দুর্ভাগ্যজক। ব্যোমকেশ ভালো নয়.. সত্যজিৎ রায় একটা করে ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার এতগুলো করা উচিত হয়নি। ভুল হয়ে গেছে। ফেলুদাটা আমার দোষ নয়, ব্যোমকেশটা আমার দোষ।

 

 

 

বায়োস্কোপ খবর

Latest News

সেই এক সাজ, একই ধরনের অভিব্যক্তি... 'আম্মা' সুচিত্রাকে বিশেষ শ্রদ্ধা রাইমার বিশ্বের সবচেয়ে খাটো মহিলাকে হাতের তালুতে নিয়ে লোপালুপি করলেন 'গ্রেট খালি' TMC হল বামেদের কার্বন কপি, বাংলায় এসে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ২ দলকে তোপ মানিকের শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়া স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ নয়, জারি হল নির্দেশিকা ‘মোদী শুনেছিলাম ভেজ খান?’ ইদে মুসলিমদের থেকে খাবার খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের তাপসীকে পাত্তাই দিল না ডেলিভারি বয়! নেটপাড়ায় প্রশংসার বন্যা, কী বলল সুইগি? IPL-এ দুরন্ত পারফরমেন্স,রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে অজিদের বিশ্বকাপ দলে ম্যাকগার্ক চলন্ত শালিমার এক্সপ্রেসের উপর ভেঙে পড়ল বৈদ্যুতিন পোস্ট, আহত শিশুসহ ৩ যাত্রী শুভেন্দুর সভা শেষে BJP কর্মীদের মারধর, কাঠগড়ায় TMC, বিক্ষোভ-অবরোধ দুই দলের সিটে আঁচড়ের দাগ, ভাঙা হেডফোন, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে চেপে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা যাত্রীর

Latest IPL News

IPL-এ দুরন্ত পারফরমেন্স,রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে অজিদের বিশ্বকাপ দলে ম্যাকগার্ক 'বরোদার অধিনায়ক বলেছিল দলে তোমার জায়গা নেই,ওর জন্যই আজ আমি এখানে’, বলছেন স্বপনীল SA সিরিজের জন্য WI দল ঘোষণা, IPL 2024-এর কারণে শক্তিশালী দল গড়তে পারেনি উইন্ডিজ হোম অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে পারেনি… PBSK-র ব্যর্থতার কারণ জানালেন সঞ্জয় বাঙ্গার IPL-র স্বার্থে বড় আত্মত্যাগ ক্যারিবিয়ানদের, অধিনায়ককে ছাড়াই নামছে T20 সিরিজে ধোনির ভবিষ্যত কি সেটা ও ভালো করেই জানে:- মাহির প্রশংসা করে এরিক সিমন্সের মন্তব্য IPL 2024: ধোনির ১১০ মিটারের ছক্কায় 'রিঙ্কু ভীতি' গ্রাস করেছিল যশ দয়ালের বাবাকে কোহলি একা নন, ধোনির সঙ্গে ড্রেসিংরুমে দেখা করতে যান এই প্রাক্তন RCB তারকাও T20 WC 2024-এর আগে রোহিতদের সতর্ক করলেন রায়না, হার্দিকের ফর্ম নিয়েও মুখ খুললেন MI ছাড়ছেন রোহিত? ভক্তদের হার্টবিট বাড়িয়ে দিল হিটম্যানের পোস্ট, শুরু জল্পনা

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.