ভোটের ময়দানে নিজেকে উজার করে দিচ্ছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারাদিন প্রচার চালাচ্ছেন হুগলির সাংসদ পদপ্রার্থী। তবে নিজের অপর দায়িত্বেও অবিচল তারকা। প্রচারের ফাঁকে সময়বার করে দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিং সারছেন তিনি। দিনভর প্রচার সামলে রাতে দিদি নম্বর ১-এর সেটে হাজির হচ্ছেন অভিনেত্রী। ক্লান্ত হলেও পর্দায় তাঁর প্রতিফলন ধরা পড়ছে না। এবার দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই ঘটল আজব ঘটনা!
হ্যাঁ, দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিং ফ্লোরে ‘ভ্লগকুমারী’র গালে চুমু খেলেন রচনা। এই ‘ভ্লগকুমারী’ আর কেউ নন, বরং অভিনেত্রী আয়েশা ভট্টাচার্য। যাঁকে আলোর কোলে ধারাবাহিকে পুপুলের পিসির চরিত্রে এখন দেখছে দর্শক। তাঁর গালেই আদুরে চুমু খেলেন রচনা। অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজ মাধ্যম প্রভাবী হিসাবেও যথেষ্ট সুনাম আছে আয়েশার। শটের ফাঁকে চেয়ারে বসে ফোন নিয়ে খুটখুট করছিলেন রচনা।
‘ও রচনাদি, ও রচনাদি…’ করতে করতে এগিয়ে যান আয়েশা। মিষ্টি আবদার- ‘কিছু বলো’। ক্লান্ত রচনা সটান বলেন, ‘আমার কিছু আর বলার নেই, আমি এখন শুধু মাইকে বলি…’। এরপর নিজেই হেসে ফেলেন! রচনার ঘাড়ে এখন অসীম দায়িত্ব সে কথা অজানা নয় আয়েশার। তৃণমূল প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানানোর পর জানতে চান- ‘যে নামটা তুমি আমার দিয়েছো, ভ্লগকুমারী… তাঁকে নিয়ে কী বলবে?’ তখনই আয়েশার গালে চুমু এঁকে রচনা বলেন, ‘আমি এই নামটা দিয়েছি বলেই তো ভ্লগকুমারী এত হিট’। দিদির এই আদরে আপ্লত আয়েশা। বলেই ফেললেন, ‘আমি আর বাড়ি গিয়ে এই গালটা ধুচ্ছি না’।
দিদি নম্বর ১-এ শুক্রবার বিকালের এপিসোডেই দেখা মিলবে আয়েশার। রচনার সঙ্গে শ্যুটের অভিজ্ঞতা নিয়ে জানতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে। আয়েশা বলেলন, ‘বোঝা যাচ্ছিল রচনাদি খুব ক্লান্ত, কিন্তু তাও যে এনার্জি নিয়ে কাজ করছে হাসিমুখে ওঁনার টেনাসিটিকে কুর্নিশ জানাই’।
আয়েশা আরও জানান, ‘আমাকে খুব ভালোবাসেন রচনাদি। অনেক ছোট থেকে দেখছেন তো। আমাকে দেখলেই আদর করে, আর আমাকে তো প্রত্যেকবার সেই এক প্রশ্ন, তোর বয়ফ্রেন্ড নেই কেন?’
প্রিয় বান্ধবী তৃষা মিত্রকে নিয়ে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে থাকছেন আয়েশা। থাকবে তাঁর জমাটি ডান্স পারফরম্যান্সও। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এখন দিদি নম্বর ১-এর শ্যুটিংয়ে অল্প-বিস্তর বদল এসেছে। দিনে তিনটের বদলে চারটে করে এপিসোডের শ্যুটিং সারছেন রচনা।