বর্তমানে বলিউডের এক নম্বর গায়ক অরিজিৎ সিং। তবে একদিনে সাফল্যের এই চূড়ায় পৌঁছাননি জিয়াগঞ্জের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা অরিজিৎ। এক রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চ থেকে লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন, এরপর দীর্ঘসময় মুম্বইয়তে স্ট্রাগল করেছেন।
প্রীতমের ছত্রছায়ায় সাফল্যের দিকে একটু একটু করে গিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুতেই অরিজিতের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ তুলেছিলেন ফেম গুরুকুলের মেন্টর ইলা অরুণ। কারণ এই রিয়ালিটি শো-এর মঞ্চে নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষটির বিপদে পাশে দাঁড়াননি অরিজিৎ। শুরু থেকে অরিজিতকে ছোট ভাইয়ের মতো আগলে থাকা শমিত ত্যাগী শো থেকে বাদ পড়েন অরিজিতের ‘ছোট্ট ভুলে’। সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া শমিত অরিজিতের সমর্থন পেলেই টিকে যেতেন শো-তে। কিন্তু সকলকে অবাক করে শমিতের উলটো দিকে দাঁড়ানো মণিকাকে বেছে নিয়েছিলেন অরিজিৎ।
ওইদিন অরিজিতের দিকে অভিযোগের কম আঙুল ওঠেনি। কিন্তু সত্যি কি বন্ধুত্বের দাম দিতে জানেন না অরিজিৎ? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাঙালি গায়িকা উজ্জ্বয়িনীর একটি ভিডিয়ো। সেখানে ‘বন্ধু অরিজিতের গল্প’ বললেন শিল্পী। উজ্জ্বয়িনী বলেন, সারেগাপামা-তে অংশ নেওয়ার পর মুম্বইতে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করছিলেন তিনি। সালটা ২০০৬-০৭ হবে। সেই সময় বন্ধুর বাড়ি জ্যাম করতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পান। সেখানে গিয়ে ‘যা পেয়েছি প্রথম’ গানটি গালি গলায় রেকর্ড করেন উজ্জ্বয়িনী।
তিনি বলেন, ‘আমার ওইসময় খুব বেশি রবীন্দ্রসঙ্গীত জানা ছিল না। যে কটা জানা ছিল, তার মধ্যে ‘যা পেয়েছি প্রথম’ গানটা আমি গাইলাম। আমার বন্ধুটি বলল চল গানটা রেকর্ড করি, খালি গলায় আমি গানটা রেকর্ড করলাম'। তারপর উজ্জ্বয়িনীর ওই গানে একটা ট্র্যাক জুরে দেন অরিজিৎ। নিজের হাতে পিয়ানো বাজিয়ে উজ্জ্বয়িনীর ভোকালের সঙ্গে যোগ করে একটা সুরেলা ট্র্যাক তৈরি করে দেন।
গত ২৫শে এপ্রিল ছিল অরিজিতের জন্মদিন। ওইদিনই গায়কের সঙ্গে নিজের বন্ধুত্বের গল্প শেয়ার করে নেন উজ্জ্বয়িনী। তিনি বলেন, ‘আজ অরিজিতের জন্মদিন, আজ ওই স্মৃতিটা খুব মনে পড়ছে। আজ এত মানুষের ভালোবাসা আর আর্শীবাদে যে জায়গায়… ওকে যে কত কত ধন্যবাদ জানাই ওই গানটার জন্য।’ উজ্জ্বয়িনী আরও যোগ করেন, ‘সব সময় ভালো থাক। তুই আগে যেমন ছিলিস মানুষ হিসাবে এখনও তেমনই আছিস আমি জানি। হ্যাঁ, এখন হয়ত ওতো দেখা হয় না। তবে মনের ভাব, ভালোবাসা, শুভ কামনাগুলো রয়েই যায়।’