ব্রিটেনের সবচেয়ে ভারি মানুষ, জেসন হাল্টন, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল তাঁর, যার কারণে মারা গিয়েছেন। মৃত্যুকালে হাল্টনের বয়স ছিল ৩৩, জন্মদিনের ঠিক একদিন পরেই মারা গিয়েছেন হাল্টন। তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৩১৭ কেজি। মায়ের মতে, হাল্টন যখন ক্রমশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়েছিল। অত্যন্ত ভারি ওজনের জন্য হাল্টনকে সাহায্যে করতে রয়্যাল সারে কাউন্টি হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন দমকল কর্মীরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথমে হাল্টনের কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে বলেছিলেন যে হল্টনের হাতে বেশি সময় নেই।
- কেন এতটা স্থূল ছিলেন হাল্টন
দুঃখ প্রকাশ করে হাল্টনের মা বলেছেন, আমি ভেবেছিলাম ডাক্তাররা তাকে বাঁচাবে, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে যে হল্টন কিশোর বয়সে নিজের বাবার মৃত্যুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে অতিরিক্ত খাওয়া শুরু করেছিলেন। তিনি প্রতিদিন দশ হাজার ক্যালোরি গ্রহণ করতেন সে সময় এবং এমনকিকাবাবও তাঁর প্রাতঃরাশের একটি অংশ হয়ে উঠেছিল। এর ফলে হাল্টনের স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। অবশেষে অঙ্গ ব্যর্থতা এবং স্থূলতার কারণে হাল্টনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হাল্টন আগেই মেনে নিয়েছিলেন যে তাঁর সময় শেষ হতে বসেছে। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন: আমি মনে করি সাধারণভাবে আমার সময় শেষ। আমি ৩৪ বছর বয়সী। আমি জানি আমাকে বাঁচার জন্য কিছু অন্তত প্রচেষ্টা করতে হবে।
- স্থূলত্বের জন্য কষ্ট পেতেন হাল্টন
চার বছর আগে অর্থাৎ ২০২০ সালে, হাল্টন নিজেই তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। সেদিন যে ভীষণ হুলুস্থল কাণ্ডটি ঘটেছিল, তা ভোলার নয়। ৩০টি দমকল ইঞ্জিন এবং একটি ক্রেনের সাহায্যে উঠানো হয়েছিল হাল্টনকে। এই ঘটনার উল্লেখ করে তিনি এটিকে তাঁর জীবনের একটি খারাপ সময় বলে বর্ণনা করেছিলেন। হল্টন জানিয়েছিলেন, যেদিন পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ির বাইরে প্রচুর ভিড় জমেছিল। 'দ্য হোয়েল' ছবির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছিলেন, এটা আমার কাছে একটা হরর ফিল্মের মতো ছিল। এমনকি আমি আমার মাকেও এই ছবিটি দেখতে নিষেধ করেছিলাম। হাল্টন বলেছিলেন যে তিনি ব্রিটেনের সবচেয়ে ভারি ব্যক্তি হিসাবে খুবই দুঃখ পান। এই সাক্ষাৎকারের মাত্র দুই বছর পরে তিনি বেশ কয়েকটি ছোটখাটো স্ট্রোকের শিকারও হয়েছিলেন।