অতিরিক্ত গরমে শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যার পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাতেও ভুগতে হয় সকলকে। ক্রমাগত ঘামতে থাকলে সারা গায়ে চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে রাস্তায় বেরোলে ভীষণভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আজ আপনাদের জানানো হবে কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে, কমিয়ে ফেলতে পারবেন চুলকানির সমস্যা।
গ্রীষ্মকালে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শরীরে চুলকানির সমস্যা তৈরি করতে পারে। ক্রমাগত ঘামের ফলে ঘামের গ্রন্থি গুলি বন্ধ হয়ে যায় এবং র্যাস অথবা চুলকানি সৃষ্টি হয়। এছাড়াও কীটপতঙ্গ বা পোকামাকড়ের কামড়েও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। আপনাদের যদি এমন কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতিতেই আপনি সারিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার চুলকানির সমস্যা।
ওটমিল: ওটমিলে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যৌগ, যা আপনার ত্বকে তৈরি হওয়া ব্যাকটেরিয়াকে মেরে দেয় এবং চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা ওটমিল দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেই জলে স্নান করে নিন। তাহলেই সমস্ত চুলকানি থেকে রক্ষা পাবেন আপনি।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপকরণ। শরীরের চুলকানির জ্বালা দূর করার জন্য প্রতিদিন ত্বকে লাগান অ্যালোভেরা। পোকামাকড়ের কামড় অথবা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে তৈরি হওয়া চুলকানি থেকে এভাবেই রক্ষা পেতে পারেন আপনি।
বেকিং সোডা: জলের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং যেখানে আপনার চুলকানি হয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিন। খুব সহজে ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, রোদে পোড়া থেকে রক্ষা পাবেন আপনি।
ভিনিগার: জলে কয়েক ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে তুলোর বল বা নরম কাপড় দিয়ে গায়ে মাখুন। ভিনিগারে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমস্ত চুলকানি থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।
পেপার মিন্ট তেল: অল্প কয়েক ফোটা পেপার মিন্ট তেল চুলকানির জায়গায় লাগিয়ে দিন। পেপার মিন্টে থাকা অ্যান্টি মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আপনার ত্বককে রক্ষা করবে চুলকানির হাত থেকে।
নারকেল তেল: নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি এসিড আপনার ত্বকে হাইড্রেট করে এবং শুষ্কতা, রোদে পোড়া অথবা চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। প্রতিদিন স্নানের আগে অল্প করে নারকেল তেল ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।