বয়স বাড়লে ব্যথা নিশ্চিত। আবার অনেক সময় অল্প বয়সেও ব্যথা পিছু ছাড়ে না। ব্যথা কী? এটি আপনাকে আসলে সংকেত দিয়ে যায় যে শরীরে কোনও সমস্যা ঘটছে। তাই ব্যথা বিরক্তিকর এবং গুরুতর হতে পারে। যেমন, বেশি বয়সে হাঁটুতে হাড়ের ক্ষয়, কোমর, কাঁধ, মেরুদণ্ডের ব্যথা তখন আরও জ্বালাময়। অন্যদিকে, টান টান বয়সে তরুণ প্রজন্মের এক টানা বসে বসে কাজ, এক্সারসাইজের অভাব ও সঠিক ডায়েট মেনে না চলায় ব্যথাও বেড়ে যায়। এ কষ্ট এতটাই অত্যন্ত যে বন্ধু এবং পরিবারের সাথে মানসম্পন্ন সময়ের সাথে হস্তক্ষেপ করতে পারে। যাইহোক, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা আরও খারাপ কারণ এটি ব্যথার ওষুধে দ্বারা উপশম হয় না।
যদিও, সাময়িক ভাবে অনেক সময় ব্যথার ওষুধ কাজে লেগে যায়। তা স্বস্তি দেয় সাময়িক ভাবে। দীর্ঘ মেয়াদি ব্যথার কষ্ট থেকেই যায়। আর নতুন এবং উন্নত ব্যথা ব্যবস্থাপনা চিকিৎসার সাম্প্রতিক প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, মানুষকে আর তীব্র ব্যথা সহ্য করতে হবে না। ব্যথা ব্যবস্থাপনা আমদের জীবন উপভোগ করতে দেয়। যাইহোক, এই চিকিৎসা কিন্তু জটিল এবং যথাযথভাবে এটি পরিচালনা এবং নিরীক্ষণ না করলে বিরূপ প্রভাব হতেই পারে। এই ব্যথা নাশক পদ্ধতিতে আধুনিক ভাষায় ইন্টারভেনশনাল পেন ম্যানেজমেন্টও বলা হয়। এই বিশেষ চিকিৎসার সাহায্যে, বেশিরভাগ ব্যথার উপশম করা হয় কোনও কাটা ছেঁড়া ছাড়াই।
ক্রনিক ব্যথা খুব যে মারাত্মক কোনও কারণে দেখা দেয়, তা কিন্তু একেবারেই নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিজেনারেটিভ অর্থাৎ ক্ষয়জনিত কারণে ব্যথার সমস্যা আসে আমাদের জীবনে। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে ক্রনিক ব্যথার কষ্টে ভুগছেন মোট জনসংখ্যার ২২.৫ শতাংশ মানুষ। বিশ্বের বাকি দেশগুলোর মধ্যে কোনও কোনও দেশ আবার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ ক্রনিক ব্যথার শিকার হয়ে থাকেন। এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে রিজেনারেশন থেরাপি করা হয়।
- রিজেনারেশন থেরাপি কী
বয়স, খেলাধুলো ও অন্যান্য কারণে অস্থিসন্ধি, পেশি, টেন্ডন, লিগামেন্ট ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত বা ডিজেনারেশন হলে রিজেনারেশন থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করলে রোগী দীর্ধদিন সুস্থ থাকেন। অস্থিসন্ধি ক্ষয়ে গেলে কিংবা পেশি, টেন্ডন, লিগামেন্ট চোট পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে রিজেনারেশন থেরাপি করে ক্ষতিপূরণ করা হয়। এই থেরাপিতে রোগীর শরীর থেকে রক্ত নিয়ে প্লেটলেট আলাদা করা হয়। প্লেটলেটে রয়েছে আলফা গ্র্যান্যুয়েলস নামে এক বিশেষ গ্রোথ ফ্যাক্টর। এগুলি ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। ফলে ব্যথা সেরে যায়। স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিয়ে সাময়িক ভাবে ব্যথা কমানো হলেও রিজেনারেশন থেরাপি দিয়ে ব্যথা সারানোর পদ্ধতিটি অনেক বেশি টেকসই।
এই বিষয়ে সবিস্তারে কথা বলেছেন:
চিকিৎসক কৃষ্ণা পোদ্দার, ডিরেক্টর , কলকাতা পেন অ্যান্ড স্পাইন সেন্টা, প্রেসিডেন্ট IISP।
চিকিৎসক পরবেশ কান্থেড়, ইন্টারভেনশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড স্পাইন এন্ডোস্কপি বিশেষজ্ঞ, মেরু পেইন অ্যান্ড স্পাইন ক্লিনিক, নিউ পালাসিয়া, ইন্দোর