খনি থেকে কয়লা তোলা যে কতটা কষ্টকর একটি কাজ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কখনও গল্পে কখনও সিনেমায় আমরা কয়লা খনি শ্রমিকদের জীবনী দেখা গেছে বহুবার। 'হীরক রাজার দেশে' সিনেমাতে দেখানো হয়েছে কয়লা খনি শ্রমিকদের কষ্টের কাহিনী। এই সমস্ত খনি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ৪ মে পালন করা হয় কয়লা খনি শ্রমিক দিবস।
কেন পালন করা হয় এই দিনটি?
পৃথিবীপৃষ্ঠের উত্তাপের থেকেও কয়েক গুণ বেশি উষ্ণ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ উষ্ণতা। সেই খনিতে নেমে যে সমস্ত মানুষ কয়লা উত্তোলন করে নিয়ে আসেন, তাদের জীবন যে কত কষ্টসাধ্য তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন অসীম সাহসিকতার সঙ্গে যারা কয়লা খনিতে কাজ করে চলেছেন তাদের সম্মান জানানোর জন্যই এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
কেন এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ?
৪ মে শুধুমাত্র কয়লা খনি শ্রমিক দিবস হিসেবেই পরিচিত নয়, এই দিনটি মনে করিয়ে দেয় শিল্প বিপ্লবের কথা। এই দিনটি মনে করিয়ে দেয়, শ্রমিকদের আত্মত্যাগ এবং সাহসিকতার কথা। তীব্র গরমের মধ্যে দিনের পর দিন যেভাবে তারা কাজ করে যান, তাদের সেই সাহসিকতার কথা স্মরণ করার দিন আজ।
কীভাবে উদযাপন করা যায় এই দিনটি?
এই দিনটিতে সেই সমস্ত কয়লা খনি শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানানো উচিত যারা দিনের পর দিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করে চলেছেন। তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এই দিনটি উদযাপন করা উচিত। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই দিনটির গুরুত্ব সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে এই দিনটি পালন করতে পারবেন আপনি।
কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনে বা যে কোনও শিল্প উৎপাদনে একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কয়লা যদি উত্তোলন না করা হয় তাহলে মানুষের জনজীবন ব্যাহত হয়ে যেতে পারে। তাই এই দিনটিকে মানুষকে আরও একটি প্রতিজ্ঞা নিতে হবে, কোনও ভাবে বিদ্যুৎ অপচয় করা যাবে না, তবেই জানানো যাবে কয়লা খনি শ্রমিকদের সম্মান। তবে শুধু বিদ্যুৎ নয়, জল অপচয় না করারও অঙ্গীকার নিতে হবে সকলকে।