২০২৪ লোকসভা ভোটের রণদামামা বেজে গিয়েছে। সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে প্রথম দুই দফার ভোট। তার মাঝে এবার কংগ্রেস পার্টির দিল্লি প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন অরবিন্দর সিং লাভলি। কেন কংগ্রেসের এই পদ আচমকা ছাড়লেন তিনি? তারও জবাব দিয়েছেন অরবিন্দর। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে অরবিন্দর জানান যে, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের সমোঝাত তা পছন্দ ছিল না। আর কংগ্রেস ছাড়ার নেপথ্যে সেটি তাঁর কাছে একটি ইস্যু।
কংগ্রেসের দিল্লির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান,'দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট এমন একটি দলের সাথে জোটের বিরুদ্ধে ছিল যা কংগ্রেস পার্টির বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানিয়ে বলা, নোংরা দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে।' উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মাঝে আচমকা লাভলির এই পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা পার্টির জন্য। এদিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে আপের সমঝোতা ভোটের আগেই হয়েছে। গত বছর আগস্ট মাসে দিল্লি কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েছিলেন অরবিন্দর সিং লাভলি। চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, দলের সব বড় সিদ্ধান্ত এককভাবে নেতৃত্ব নেয়, আর তাতে ভেটো দিতে হয় দিল্লির কংগ্রেসের প্রধানকে। চিঠিতে তিনি লিখছেন, তাঁর যোগদানের পর থেকে তাঁকে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসে কোনও সিনিয়রের যোগদান করতে দেওয়া হয়নি। মিডিয়া হেড পদেও বর্ষীয়ান নেতাদের নিয়োগে তাঁর অনুরোধকে পার্টির নেতৃত্ব খারিজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর। তাঁর মতো করে দিল্লিতে তিনি সংগঠনকে এগিয়ে না নিতে পারায়, ‘ফলস্বরূপ দিল্লির ১৫০ টিরও বেশি ব্লকে বর্তমানে পার্টির একজনও ব্লক সভাপতি নেই’, বলে জানান লাভলি। তাঁর ক্ষোভের তালিকায় রয়েছেন কানহাইয়া কুমারও। অরবিন্দর বলছেন, সদ্য উত্তরপূর্ব দিল্লির প্রার্থী (কানহাইয়া কুমার) ‘মিথ্যা’ প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে, যে ঘটনা স্থানীয় পার্টি কর্মীদের ভালো লাগেনি।
লাভলি বলছেন, স্থানীয় পার্টি কর্মীরা জানতেন যে এই জোট কেবল একটা সমঝোতা ছিল, যাতে জাতীয় জোটের মাধ্যমে দলের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। সেখানে এমন ভাবে কেজরিওয়াল সরকারের প্রশংসা কংগ্রেসের দিল্লিক কর্মীদের জন্য ভালো বার্তা ছিল না বলে দাবি এই কংগ্রেস নেতার। যেহেতু তিনি দলীয় কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেননি, তাই তিনি ওই পদে থাকার কোনো কারণ দেখছেন না বলে জানিয়েছেন লাভলি।