সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ধাক্কা খেলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, নিয়োগকর্তার থেকে নেওয়া জিরো ইন্টারেস্ট বা কম সুদের লোনের মাধ্যমে যে টাকা বাঁচানো হয়, তা করযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। কারণ সেই বিষয়টি আয়কর আইনের ১৭ (২) (৮) নম্বর ধারা এবং আয়কর নিয়মের ৩ (৭) (১) নম্বর ধারার বৈধতা বজায় রাখছে। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের ইউনিয়নের তরফে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তা খারিজ করে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, জিরো ইন্টারেস্ট লোন বা কম সুদের ঋণের মাধ্যমে ব্যাঙ্ককর্মীরা যে সুবিধা পান, তা পুরোপুরি বিশেষ সুবিধার আওতায় পড়ে। সেটাকে উপরি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাই সেটিকে করযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।
কোন নিয়মের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যাঙ্ককর্মীরা?
নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনও ব্যাঙ্ককর্মী জিরো ইন্টারেস্ট লোন বা স্বল্প সুদের ঋণ নেন, তখন কোনও সাধারণ মানুষ একই অঙ্কের লোন নিলে তাঁকে যে অর্থ দিতে হয়, সেটার নিরিখে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককর্মী বছরে যত টাকা বাঁচান, সেটার উপর কর দিতে হবে। আর সেই আইনকেই চ্যালেঞ্জ করে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশন এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের ইউনিয়নের তরফে মামলা রুজু করা হয়েছিল।
কেন কর দিতে হবে ব্যাঙ্ককর্মীদের?
আর সেই মামলা কেন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে, সেটাও ব্যাখ্যা করেছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি খান্না এবং বিচারপতি দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই জিরো ইন্টারেস্ট বা কম সুদের লোনের মাধ্যমে ব্যাঙ্ককর্মীরা যে বাড়তি সুবিধা পান, সেটা তাঁদের বেতনের মধ্যে পড়ে না। অর্থাৎ ব্যাঙ্ককর্মী তো বেতন পান। সেটা ছাড়াও ঋণের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। যা অন্যথায় পাওয়ার কথা ছিল না। ব্যাঙ্কে কাজ করেন বলেই তাঁরা সেই সুবিধা পান।