বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ
ভয়াবহ পরিস্থিতি! একের পর এক ধস। তার জেরে অসমের বরাক উপত্য়কা, ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামের একাংশ রবিবার দেশের অন্য়ান্য় অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল উত্তরপূর্বের একাধিক এলাকা সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রচন্ড বৃষ্টির জেরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
রবিবার আবহাওয়া দফতরের তরফে এনিয়ে বড় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ১১ মে পর্যন্ত অসম ও প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে বজ্র বিদ্যুৎ সহ প্রচন্ড বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
এদিকে আধিকারিকদের মতে, বর্তমান এই পরিস্থিতির জেরে আগামী দিনে সমস্য়া আরও বাড়তে পারে। অসমের একাধিক জেলা যেমন ডিমা হাসাও, বরপেটা, ডিব্রুগড়ের জন্য বড় সতর্কবার্তা রয়েছে।
ডিমা হাসাওয়ের ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার সীমন্ত কুমার দাস হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা মেনে সকলকে ঘরে থাকার জন্য় অনুরোধ করা হচ্ছে। তারা যাতে বাইরে কোথাও না যান সেটা বলা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তৈরি রয়েছি। হাফলং পুরসভা থেকে অন্য়ান্য দফতর সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। অসম রাইফেলস সহ অন্যান্য এজেন্সিকে সতর্ক করা হয়েছে।
নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর কাদা উঠে এসেছে রেললাইনের উপর। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের টিম এলাকায় রয়েছে। কিন্তু প্রচন্ড বৃষ্টির জন্য় সমস্যা হচ্ছিল। বরাক উপত্যকা ও ত্রিপুরা থেকে কিছু ট্রেন ডিমা হাসাওতে আটকে ছিল। সেগুলি পাস করা হচ্ছে। কিছু ট্রেনের সময় বদলাতে পারে।
কাছারের ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার রোহন কুমার ঝা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত খাবার ও জ্বালানি রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ধসের জেরে রাস্তা ও রেল যোগাযোগ কিছুটা বিপর্যস্ত হয়েছিল। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে বরপেটা জেলায় ৬০ বছর বয়সি এক মহিলা ও তাঁর ২০ বছর বয়সি কন্যা বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি রবিবার যে ফ্লাড রিপোর্ট জারি করেছিল তাতে বলা হয়েছিল কোনও নদী বিপদসীমার উপর বইছে না কিন্তু ফোর্সকে রেডি রাখার জন্য় বলা হয়েছে।
এদিকে কলকাতায় এদিন সকালে চড়া রোদ বের হলেও বেলার দিকে হাওয়া বইতে থাকে। কিছুটা মেঘলা ছিল আবহাওয়া। তবে গরম রয়েছে ভালোই।