একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। মসজিদে বন্দুকবাজের হামলা। প্রার্থনা চলাকালীন এলোপাথারি গুলিবৃষ্টি। অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। মঙ্গলবার এক তালিবান অফিসারকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্য়ম একথা জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি মসজিদে এক বন্দুকধারীর হামলা চালিয়ে নামাজ পড়ার সময় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ছয়জনকে হত্যা করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মসজিদটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে কারণ এটি দেশটির শিয়া মুসলিম সংখ্যালঘু সদস্যদের উপাসনালয় ছিল।
তালিবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মাতিন কানি জানান, সোমবার রাতে হেরাত প্রদেশের গুজারা জেলায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি, এতে আরেকজন প্রার্থনাকারীও আহত হয়েছেন এবং হামলাকারী গুলি চালানোর পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেন, 'আমি ইমাম জামান মসজিদে হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সহযোগী সংগঠনটি তালিবানের একটি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রায়শই সারা দেশে স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ এবং শিয়া অঞ্চলগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে।
২০ বছরের যুদ্ধের পর দেশটি থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সেনাদের বিশৃঙ্খল প্রস্থানের শেষ সপ্তাহগুলিতে ২০২১ সালের অগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান।
আরও মধ্যপন্থী অবস্থানের প্রাথমিক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, তালিবানরা ধীরে ধীরে ইসলামী আইন বা শরিয়াহর কঠোর ব্যাখ্যা পুনরায় চাপিয়ে দেয়, যেমনটি তারা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে তাদের পূর্ববর্তী শাসনের সময় করেছিল।
এভাবে মসজিদে গুলি চালানোকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। মসজিদে যখন নমাজ পড়া হচ্ছিল তখনই এই হামলা চালানো হয়।
তবে এবারই প্রথম নয় এর আগেও তালিবানের শাসনে একাধিক হাড়হিম করা ঘটনা হয়েছে।