কংগ্রেসের এক কাউন্সিলরের কন্যাকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তারই এক সহপাঠির বিরুদ্ধে। এরপরই এনিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় অনেকেই লাভ জেহাদের ইঙ্গিত পাচ্ছেন। ২৩ বছর বয়সি নেহা হিরেমঠ নামে ওই তরুণীকে অন্তত সাতবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। অভিযুক্তের নাম ফৈয়জ খোনডুনায়েক।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওই রাজ্যের সরকার জানিয়েছে, এই ঘটনা লাভ জিহাদের মতো ব্যাপার নয়। এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, এরকম আরও ঘটনার কথা জানি। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা আর কারোর সঙ্গে হওয়াটা কোনওভাবেই উচিত নয়।
তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা হয়েই চলেছে। একাধিক জায়গায় দেখা যায় এই ধরনের ঘটনা হচ্ছে। কেন তাদের মনের পরিস্থিতি এমন হচ্ছে? আমরা আমাদের কন্য়াকে হারিয়েছি। এটা আর কারোর সঙ্গে যেন না হয়। এটা আমার প্রার্থনা। আমার মনে হচ্ছে লাভ জিহাদের ব্যাপারটা ক্রমেই ছড়াচ্ছে।
এদিকে ওই কাউন্সিলরের দাবি ওই গ্যাং দিনের পর দিন ধরে চক্রান্ত চালিয়ে গিয়েছে, তারাই তাকে ফাঁদে ফেলেছিল। তাকে ওরা হুমকি দিত। কিন্তু মেয়েটা সেসব লুকিয়ে রাখত।
তবে পুলিশ অভিযুক্তকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে। তবে ফৈয়জের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
কংগ্রেস কাউন্সিলরের কন্য়াকে কুপিয়ে খুন। কর্ণাটকের হুব্বালি ধারওয়াড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাউন্সিলর তিনি। বৃহস্পতিবার একেবারে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্য়েই ওই কন্যাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর নাম নেহা হিরেমঠ। তার বয়স ২১ বছর। তিনি নিরঞ্জন হীরেমঠের সন্তান। তারই এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গোটা দৃশ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে বার বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। এরপর সে এলাকা ছেড়ে পালায়। কিন্তু কেন সে এভাবে তাকে খুন করল তা নিয়ে এখনও পরিস্কার নয়।
এই ফৈয়জ কে?
সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে সে কলেজ যাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। সে একটি পরীক্ষায় ফেল করার পরে আর কলেজ যেত না। তার বাবা সরকারি স্কুলের শিক্ষক। বৃহস্পতিবার সে কলেজে এসেছিল। সেখানে সে ছুরি নিয়ে আসে। এরপর সে নেহাকে মারতে থাকে। তবে স্থানীয় কয়েকজন তাকে এই খুনের ঘটনায় সহায়তা করেছিল বলে খবর। পুলিশ তাকে আটক করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন তাকে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই খুনের পেছনে প্রেমের কোনও বিষয় রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কী বললেন অভিযুক্তের মা?
এদিকে ফৈয়জের মা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমি ছেলের পক্ষ থেকে সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি মেয়েটির পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইছি। সে আমারও মেয়ের মতো। আমি জানি তাদের কত কষ্ট হচ্ছে। আমার ছেলে যা করেছে সেটা ভুল। যাই হোক না কেন আমার ছেলে ভুল করেছে।