দলের কর্মপদ্ধতি নিয়ে একে পর এক তোপ দেগে চলেছেন কুণাল ঘোষ। কখন মুখে কখনও বা এক্স হ্যান্ডেলে। শুক্রবারও তা অব্যাহত ছিল। এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করে আইপ্যাক কর্তা প্রতীক জৈনকে সাংগঠনিক পদ দেওয়ার কথা বলেন। এই চাপানউতোরের মধ্যে কুণাল ঘোষ খুন হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অধীর চৌধুরী।
অধীরের শঙ্কা
বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ অধীর দাবি করেন, 'কুণাল ঘোষ এখন সোজা কথা বলতে শুরু করেছে। দিদির গায়ে ঝাল লাগছে। ভাল লাগছে না। কুণাল ঘোষকে কদিন পর জেলে ভরে দেবে। খুনও করে দিতে পারে। মিথ্যা কেসে জেলও হতে পার।'
তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এ নিয়ে কোন শাসকদলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য আসেনি।
আরও পড়ুন। তৃণমূলে পদহারা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
আরও পড়ুন। পদে নয় পথে আছি, ধরা গলায় স্লোগান তুলে কেঁদে ফেললেন ‘একলা’ কুণাল
কুণালের তোপ অব্যাহত
শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লিখেছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক হিসেবে দলকে আমার সবিনয় অনুরোধ, ‘অপদার্থ’ ও ‘দলবিরোধী’ কুণাল ঘোষের শূন্যপদে মুখপাত্র ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আইপ্যাকের প্রতীক জৈনকে নিয়োগ করা হোক। দলটা ওরা এত ভালোভাবে চালাচ্ছে যে সাংগঠনিক পদও প্রতীকের প্রাপ্য। দলের মঙ্গল হোক।' তাঁর এই কথা পরামর্শের চেয়ে শ্লেষই রয়েছে।
আরও পড়ুন। দেবের বেলায় ‘মহানুভব’-রা জেগে ওঠেন না? ঘুরিয়ে মমতা ও অভিষেককে আক্রমণ কুণালের!
'পদে নই পথে আছি'
তাপস রায়কে ঘিরে মন্তব্যের জেরে রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় কুণাল ঘোষকে। তারপরই তাঁকে আক্রমণাত্ম হতে দেখা যায়। এর আগে তাঁকে মুখপত্রের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে দলের কর্মপদ্ধতিরও সমালোচনা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার তার কিছু অনুগামী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদেও ফেলেন। তিনি বলেন, 'পদে নয় পথে আছি।' দলবদলের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে কুণাল বলেন,'তৃণমূল কর্মী ছিলাম আছি থাকব।' এসবের মধ্যেই অধীর চৌধুরীর মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল।
আরও পড়ুন। তাপসকে ভালো বলে তৃণমূলে ‘দুষ্টু’ হলেন কুণাল! কেড়ে নেওয়া হল বড়সড় পদ