দেবের বেলায় ছাড়। কিন্তু কুণাল ঘোষ সৌজন্য দেখালে তাঁকে কেন ‘অগ্নিপরীক্ষা’ দিতে হবে? এমনই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের ‘অপসারিত’ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে আক্রমণ শানানো মিঠুন চক্রবর্তীকে যখন ‘গার্ডিয়ান’ বলেন দেব, তখন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেগে ওঠেন না। অথচ তাঁর মতো লড়াকু কর্মীদের কি অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে? তবে শুধু সেই প্রশ্ন তুলেই ক্ষান্ত হননি কুণাল, তিনি এমন কথা বলেছেন, তা থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে ঘুরিয়ে কি মমতা এবং অভিষেককে আক্রমণ শানালেন কুণাল?
কিন্তু কুণাল ঠিক কী বলেছেন, যে মন্তব্যের জেরে সেই প্রশ্ন উঠছে?
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ‘অপসারণের’ পরে নাম না করে ডেরেক ও'ব্রায়ানকে 'কুইজ মাস্টার' (কুণালকে অপসারণের প্রেস বিবৃতিতে স্বাক্ষর ছিল ডেরেকের) বলে আক্রমণ শানান কুণাল। তৃণমূলের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে সরব হয়ে কুণাল দাবি করেন, দেবের বেলায় জেগে ওঠেন না 'কুইজ মাস্টার' এবং তাঁর ‘পিছনে থাকা পরিচালকরা’। আর সেই 'পরিচালক' বলতে তিনি যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বোঝাচ্ছেন, তা বোঝাতেও কোনওরকম কুণ্ঠাবোধ করেননি কুণাল।
তাঁর কথায়, 'যিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন, (সেই) মিঠুন চক্রবর্তীকে যখন দেব বলেন যে তিনি বাবার মতো, (বলেন যে) কিডনি দিতে পারি, (বলেন যে) গার্ডিয়ান বলেন, তখন কুইজ মাস্টার জেগে ওঠেন না? বা কুইজ মাস্টারের পিছনে থাকা পরিচালকরা জেগে ওঠেন না?' সেইসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর থেকে বেশি কড়া ভাষায় বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন, এরকম নেতার সংখ্যা হাতেগোনা।
সেইসঙ্গে ‘পরিচালক’ কারা, সেটা ব্যাখ্যা করে কুণাল বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতত্ব হবে। আমি কী করে বলব। তাঁরা সব মহানুভব। মঙ্গল করুক ঈশ্বর। ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুক।’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, তাপস রায়ের সঙ্গে দেখা হলেও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তাঁর প্রার্থী বলেছেন। আর তাপসের প্রশংসার পরে তাঁকে যে ‘অপসারণ’ করা হয়েছে, সেটাও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কুণাল। কারণ তিনি নিজেই পদ ছেড়েছিলেন বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতা। তাঁর কথায়, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসে আছি, তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসেই থেকে যাওয়ার চেষ্টা করব।’