SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ‘অভিযোগহীন’ শিক্ষকদের তালিকা তুলে ধরবে কমিশন। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানালেন কমিশনের সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার। তবে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা কমিশন আদালতে জমা দেবে কি না সেই প্রশ্ন এড়িয়েছেন সিদ্ধার্থবাবু। কমিশনের অবস্থান সুপ্রিম কোর্টে গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল সরকার: নরেন্দ্র মোদী
পড়তে থাকুন: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করে শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে TMC: মোদী
শুক্রবার কমিশনের দফতরের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা। এর পর কমিশন দফতরে সাংবাদিকদের সামনে এক বিবৃতি দিয়ে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘আদালতের সাম্প্রতিক একটা রায়কে কেন্দ্র করে আজ SSC দফতরের সামনে একটা বড় জমায়েত হয়েছে। পুরো ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে প্রত্যেকেই চাকরিহারা হয়েছে। তাদের মধ্যে একটা অংশকে আমরা বিতর্কিত বা অযোগ্য বলে চিহ্নিত করে আদালতে হলফনামা দিয়েছিলাম। বাকি যে অংশটা। যাদের সম্পর্কে কোনও অভিযোগ নেই, তারা আজ জমায়েত হয়েছেন এবং আমার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাও হয়েছে। তারা অনেকে এসেছিলেন, ১০ জন অন্তত। আমি তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছি। যারা যোগ্য প্রার্থী তাদের পাশে অবশ্যই কমিশন থাকবে’।
তিনি দাবি করেন, ‘আমরা চেষ্টা করব সুপ্রিম কোর্টকে এটা আশ্বস্ত করতে যে এই তালিকা থেকে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব। আমরা যেমন অযোগ্যদের একটা তালিকা দিয়েছিলাম কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। তেমন বিতর্কিতদের তালিকা আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছেও তুলে ধরব। এবং যারা রয়ে গেলেন তাদের সম্পর্কে কোনও অভিযোগ নেই তার একটা পরিসংখ্যান অবশ্যই দেব’।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে পদহারা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
সিদ্ধার্থবাবুর বিবৃতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওদের কাছে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা থাকলে সেই তালিকা কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেননি কেন? সেই তালিকা তো ডিভিশন বেঞ্চ বার বার জমা দিতে বলেছিল। অযোগ্যদের রক্ষা করতে গিয়ে যোগ্যদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এখন শিরে সংক্রান্তি বুঝে সুপ্রিম কোর্টে একটা তালিকা দেওয়ার কথা বলছেন। ওই তালিকা সুপ্রিম কোর্টে গ্রহণযোগ্য হবে কি না সন্দেহ আছে। তার আগে কমিশনকে জবাব দিতে হবে, তালিকা থাকলে তারা যোগ্য প্রার্থীদের এই হয়রানির মুখে ঠেলে দিল কেন?’