ক্ষত্রিয় সম্প্রদায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পুরুষোত্তম রুপালার মন্তব্যকে ঘিরে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল রাজপুতরা। গুজরাটের রাজপুত সমাজ বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় । যা নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। তার মধ্যেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে এগিয়ে এল গুজরাটের ৪৫টি রাজ পরিবার। বৃহস্পতিবার রাজ পরিবারের সদস্যরা রাজকোটে একটি বৈঠক করার পর নরেন্দ্র মোদীর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: 'বাংলায় অনেক বড় বদল হবে, সময়ের অপেক্ষা, এক নারীর হাত ধরে যা…'বললেন মোদী
এদিন এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এবং গুজরাটের ১৫-১৬টি রাজপরিবারের সদস্যরা। বাকিরা চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানিয়েছেন। বৈঠকের পরে রাজকোটের ঠাকুর সাহেব সিংজি জাদেজা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে তিনি দেশের স্বার্থকে সবার উপরে রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসাও করেন।
জাদেজা বলেছেন, ‘জাতির স্বার্থকে প্রথমে রেখে ভারতীয় ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রতি সচেতনতা আনতে গভীরভাবে আলোচনা করা হয়েছে আমাদের এই বৈঠকে। আমাদের মনে হয়েছে, ভারতের সংস্কৃতি ও ধর্মের রক্ষক হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প আর নেই। তিনি একজন বিরল ব্যক্তিত্ব, যিনি এই দেশকে উচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে পারেন।’
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ গুজরাটের রাজকোটে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তৃতার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজকোটের বিজেপি প্রার্থী পুরুষোত্তম রুপালা ক্ষত্রিয়দের নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ব্রিটিশ শাসনে রাজা এবং রাজপরিবারের লোকেরা ব্রিটিশদের কাছে মাথা নত করেছিলেন, তাদের সঙ্গে পারিবারিক বন্ধন শুরু করেছিলেন।’ তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন রাজপুতরা।
এ প্রসঙ্গে জাদেজা বলেন, এ বিষয়ে বিজেপির সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত এর সমাধান হবে। তিনি নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে বলেন, ‘ক্ষত্রিয় সম্প্রদায় এবং শাহী যুগের রাজা-সম্রাটদের মতো যিনি তপস্বী, তেজস্বী, জাতির জন্য নিবেদিতপ্রাণ সেই ব্যক্তিটির নাম হল নরেন্দ্র দামোদর মোদী। তিনি ১৪৫ কোটি দেশবাসীর সুখ, উন্নয়ন এবং নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন। একটানা ১৬ এবং ১৮ ঘণ্টা কাজ করেন তিনি। তিনি এখন একজন বিশ্বনেতা। তাঁর প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, গুজরাট হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উভয়েরই নিজ ভূমি। এই রাজ্যটিকে বিজেপির শক্তিশালী দুর্গ হিসেবেই ধরা হয়।