Rohith Vemula Case: রোহিত ভেমুলার মৃত্যু তদন্ত 'ক্লোজ' করল পুলিশ, উপাচার্য, বিজেপি নেতাদের অব্যাহতি

রোহিত ভেমুলার মৃত্যু তদন্ত 'ক্লোজ' করল পুলিশ। রিপোর্ট হাইকোর্টে পেশ করা হয়েছে। উপাচার্য, বিজেপি নেতাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ থেকে।

রোহিত ভেমুলার মৃত্যু তদন্ত 'ক্লোজ' করল পুলিশ, উপাচার্য, বিজেপি নেতাদের অব্যাহতি

হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ছাত্র রোহিত ভেমুলার মৃত্যু মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করল তেলেঙ্গানা পুলিশ। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আত্মহত্যা করে ভেমুলা। শুক্রবার তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে রিপোর্ট পুলিশ জমা দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, রোহিত ভেমুলা তফসিলি জাতিভুক্ত নন। পুলিশ অনুমান করছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন এই ভয়ে যে তাঁর 'আসল জাত পরিচয়' প্রকাশিত হয়ে যাবে।

রিপোর্টে সেকেন্দ্রাবাদের তৎকালীন সাংসদ বন্দারু দত্তাত্রেয়, আইন পরিষদের সদস্য এন রামচন্দ্র রাও এবং উপাচার্য আপ্পা রাও, এবিভিপি নেতাদের এবং নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ।

জাতিগত শংসাপত্র নিয়েই সংশয়

রিপোর্টে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, কোনও প্রমাণ না দিয়ে তাঁর পরিবারের জাতিগত শংসাপত্রগুলিকে জাল করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হল, তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার চার মাস পর এই রিপোর্ট সামনে এল। ১৩ মে তেলেঙ্গানায় লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক দশ দিন আগে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। ভেমুলার মৃত্যুর পর একটি সংগঠন তৈরি হয় 'জাস্টিস ফর ভেমুলা'। সেই সংগঠনকে সমর্থন জানায় কংগ্রেস। সম্প্রতি প্রচারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি উপজাতি (এসটি), অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) এবং সংখ্যালঘুদের "শিক্ষা ও মর্যাদার অধিকার রক্ষা" করার জন্য রোহিত ভেমুলা আইন নামে একটি আইন কার্যকর করার আশ্বাস দিয়েছেন। 'ভারত জোড়ো যাত্রায়' রোহিতের মাকে কংগ্রেসে যোগ দিতে আহ্বান জানান রাহুল।

তবে এই ক্লোজর রিপোর্ট নিয়ে তেলেঙ্গানা কংগ্রেস বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়ার জন্য রোহিতে মা, আম্বেদকর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (এএসএ) নেতৃত্ব এবং তাঁর কোনও আত্মীয় কোনও প্রক্রিয়া দেননি। শুক্রবার হাইকোর্টে শুনানি পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষে করবেন।

মৃত্যুর কারণ নিয়ে ‘আলোচনা নেই’

নিউজ মিনিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদিও মামলাটি প্রাথমিকভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩০৬ ধারা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) এবং এসসি/এসটি অত্যাচার প্রতিরোধ (পিওএ) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ক্লোজার রিপোর্টে বেশিরভাগই ভেমুলার জাতপাতের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর পিছনে কারণ নিয়ে কোনও অলোচনা করা হয়নি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে,'রেকর্ডে এমন কোনও তথ্য বা পরিস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা তাঁকে (রোহিত ভেমুলা) আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল এবং তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।'