হাওড়ার বাঁকড়ায় পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরে পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করার অভিযোগ উঠছে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ নিজের অনুগামীদের বাঁচাতে নিরপরাধ দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক জানিয়েছেন, পুলিশ তদন্ত করছে। দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির শুনানিতে বড় মোড়, অকারণে মুখ্যসচিবকে ভর্ৎসনা করছিলাম: হাইকোর্ট
পড়তে থাকুন: তৃণমূলে পদহারা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বোমা ফাটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকড়া ৩ নম্বর পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৩ দুষ্কৃতী। ঘটনার জেরে হুলুস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। তার পর থেকে বন্ধ পঞ্চায়েত দফতর। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার জেরে শনিবারও থমথমে ছিল এলাকা। পঞ্চায়েত অফিসের আসেপাশে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করছে এলাকায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ মোট তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।গ্রেফতার দুজন। কিন্তু গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীরা এখনো অধরা।
গোটা ঘটনায় এলাকার মানুষজন ক্ষুব্ধ। এমনকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের একাংশ। এতবড় ঘটনার পর ডোমজুরের বিধায়ক এলাকায় না আসায় প্রশ্ন তুলেছেন তারা। সামনেই লোকসভা নির্বাচন।ভোটে এর প্রভাব পড়বে বলে ঘটনার দিনই জানিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ কর্মীরা। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ শেখ সাজিদের নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়। কিন্তু দুজন ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
ধৃত অঞ্চল সভাপতি ভোলানাথ চক্রবর্তীর স্ত্রী রুম্পা চক্রবর্তী জানান, তার স্বামী নির্দোষ। ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও যারা প্রকৃত দোষী তাদের ধরা হলো না। ওদিকে আমার স্বামীকে অচেতন অবস্থায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল সরকার: নরেন্দ্র মোদী
বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ জানান, যারা গুলি চালিয়েছে তাদের গ্রেফতার করলেই ঘটনার কারণ জানা যাবে।পুলিশ তদন্ত করছে। আর ঠিক সময়েই তিনি এলাকাতেও যাবেন। দ্রুত শান্তি ফিরে আসবে বলে জানান বিধায়ক। ভোটে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন তিনি।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের বহিষ্কার করা উচিত ছিল তৃণমূলের। বিধায়কের এলাকায় আসা উচিত ছিল। উনি এলে মানুষ আশ্বস্ত হতেন।