লোকসভা ভোট একেবারে মাঝপথে চলে এসেছে। জমে উঠেছে লড়াই। ভোট প্রচারে বেরিয়ে একের পর এক তীব্র কটাক্ষ করছেন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে লড়াই ক্রমেই তীব্রতর হয়ে উঠছে।
তার মধ্য়েই এবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে গোধরা কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুললেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের দ্বারভাঙাতে একটি নির্বাচনী সভায় আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে একহাত নিলেন মোদী। মোদীর দাবি, গোধরাতে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অযোধ্য়া থেকে ফেরার পথে ৫৯জন করসেবককে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। ২০০২ সালের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে আনলেন মোদী।
মোদী বলেন, লালু প্রসাদ তখন ছিলেন ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী। তিনি বিচারপতি ইউসি ব্যানার্জি কমিটি তৈরি করেছিলেন। ২০০৫ সালে তার রিপোর্ট সামনে আসে। সেখানে অভিযুক্তদের ক্লিনচিট দেওয়া হয়। বলা হয়েছিল ওটা দুর্ঘটনা হয়েছিল। তবে কোর্ট সেই রিপোর্টকে অস্বীকার করে। পরে অপরাধীদের শাস্তি হয়। তিনি কংগ্রেস ও আরজেডির বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি ওবিসি, এসসি, এসটি কোটাকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ওরা। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বিআর আম্বেদকর যে সংবিধান তৈরি করেছিলেন সেই সংবিধানকেও ওরা বিকৃত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আম্বেদকর , এমনকী নেহেরুও ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিরোধী ছিলেন। মোদী বলেন, আমি বেঁচে থাকা পর্যন্ত ওরা ওবিসি, এসসি, এসটি কোটা নিয়ে কিছু করতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওরা মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছে। আমি ওদের মুখোশ খুলে দিয়েছি। ১২ দিন আগে যে প্রশ্ন করেছিলাম তা নিয়ে ওরা একেবারে চুপ করে রয়েছে। ওরা ওবিসি, এসসি, এসটিদের অধিকারকে ছিনিয়ে নিতে চাইছে।
মোদীর দাবি, লালু প্রসাদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন ২০০৭ সালে তিনি আধিকারিকদের বলেছিলেন ওবিসি, এসসি, এসটি কোটা থেকে মুসলিমদের জন্য আলাদা সংরক্ষণের একটা ব্যবস্থা করার জন্য বলেছিলেন। এটা অনেকটা যাদব, পাসোয়ান, মুসাহার ধানুক সম্প্রদায়ের যে অধিকার রয়েছে সেই অধিকারকে কেড়ে নেওয়া।
লালুর পুত্র তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের নাম উল্লেখ না করে তিনি তীব্র কটাক্ষ করেন। তাঁকে কার্যত পাটনার শাহজাদা বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন মোদী।