প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের আমলে ইউপিএ সরকারের শাসনকালের তুলনায় ইডি’র হাতে গ্রেফতারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫০০ শতাংশ। এছাড়াও ৬৩ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সম্প্রতি, একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইডি। তাতে বিগত সরকারের সঙ্গে এনডিএ সরকারের তুলনা তুলে ধরে এমনই তথ্য জানিয়েছে ইডি।
আরও পড়ুন: ইডিকে 'খুলি ছুট', ভোটের আবহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে বড় বার্তা মোদীর
তথ্য অনুযায়ী, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ) আইন আইন প্রণয়ন হয়েছিল ২০০২ সালে এবং তা কার্যকর হয়েছিল ২০০৫ সালে। তারপর থেকেই অর্থ পাচারের তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তথ্য অনুযায়ী, ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইডি পিএমএলএ-এর অধীনে ১৭৯৭ টি মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল। তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সংস্থাটি ৫১৫৫টি পিএমএলএ মামলার তদন্ত শুরু করে।
ইউপিএ আমলে ১০২টি চার্জশিট দাখিল করেছিল ইডি। সেখানে এনডিএ আমলে এখনও পর্যন্ত ১২৮১ টি চার্জশিট দাখিল করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে সংখ্যাটি কতটা বেশি। যদিও বিরোধী দলগুলি বার বার অভিযোগ করে আসছে যে গত ১০ বছরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য ইডিকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র সরকার। শুধুমাত্র বিরোধীদের টার্গেট করা হচ্ছে। তবে সেই অভিযোগ উড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং শাসক দল জোর দিয়ে বলেছে যে সংস্থাটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সম্পূর্ণরূপে যোগ্যতার ভিত্তিতে তদন্ত করছে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কাজ করছে ইডি।
সংস্থার দাবি, ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ৭২৬৪টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে যা আগের সরকারের তুলনায় ৮৬ গুণ বেশি। এছাড়াও গত এক দশকে মোট ৭৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। যেখানে ইউপিএ আমলে মাত্র ২৯ জন গ্রেফতার হয়েছিল। এছাড়া ১,২১,৬১৮ কোটি টাকার সম্পত্তি গত ১০ বছরে অ্যাটাচ করেছে ইডি। ইউপিএ আমলে এই সংখ্যা ছিল ৫,০৮৬ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার।
এছাড়াও, যেখানে ইউপিএ-র আমলে কোনও সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়নি সেখানে গত ১০ বছরে ইডি ১৫,৭১০ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। এ পর্যন্ত ইডি গত কয়েক বছরে ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থদের ১৬০০০ কোটি টাকারও বেশি ফেরত দিয়েছে।
ইডি পিএমএলএর অধীনে নগদ বাজেয়াপ্তও গত সরকারের তুলনায় বেশি করেছে। তথ্য বলছে, যে সংস্থাটি গত দশ বছরে ২৩১০ কোটি টাকারও বেশি ভারতীয় এবং বিদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করেছে।