শাহনাওয়াজ আলি রায়হান। গুগলে সার্চ করলে প্রথম যে বিষয়টি সামনে আসে সেটা হল অক্সফোর্ডের একটা পেজ। আসলে এই অক্সফোর্ড থেকেই পিএইচডি করছেন মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী। আর যে বিষয়ে তিনি পিএইচডি করছেন সেটা আরও নজরকাড়া। 'Between Marx and Muhammad, Muslims and Communism in Bengal' । অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয় তাঁর পিএইচডির বিষয়টা। তৃণমূল প্রার্থীর গবেষণার বিষয় বাংলায় কমিউনিজম….।
এখানেই শেষ নয়। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে দুটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি। পড়াশোনা করেছেন সাংবাদিকতা নিয়ে।
মালদা দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী। দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন। মাথার উপর গনগনে সূর্য। একের পর এক এলাকায় প্রচার। অত্যন্ত শিক্ষিত ও মার্জিত মানুষ বলেই এলাকায় পরিচিত।তবে উচ্চশিক্ষিত হলেও গ্রামের মানুষের সঙ্গে তিনি মিশে যাচ্ছেন ঘরের ছেলের মতোই। আসলে এই মুর্শিদাবাদের কালিয়াচকেরই ভূমিপূত্র তিনি। এখানকার চিরকালীন সমস্যাকে তিনি পৌঁছে দিতে চান সংসদে।
একেবারে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। গ্রামের পথ ধরে চলছে প্রচার গাড়ি। দুপাশে দারিদ্রের ছাপ স্পষ্ট। তার মধ্যেই একটা দুটো বাড়ির অবস্থা বেশ ভালো। তাদের মধ্য়ে কেউ কেউ ভিনদেশে কাজ করেন। তবে অনেকেই ভিনরাজ্যে কাজে যান। স্থানীয়দের আক্ষেপ, বাংলায় কাজ থাকলে এভাবে ভিনরাজ্যে কাজে যেতে হত না।
এলাকায় প্রচার চলছে পুরোদমে। তার মধ্যে এলাকার নেতা কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার এই কেন্দ্রটা অনেক ক্ষেত্রেই বেশ নজরকাড়া।
বিজেপি-কংগ্রেস কিংবা তৃণমূলের তরফে যে প্রার্থী এবার দেওয়া হয়েছে এই কেন্দ্রে প্রত্যেকেই উচ্চশিক্ষিত।
দুচোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন শাহনাওয়াজ। সেই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না সেটা বলবে সময়। তবে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রথম থেকেই আমার রাজনীতির প্রতি আগ্রহ রয়েছে। ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে যে লড়াই সেই ইতিহাসটা আমাকে বরাবর টানে। গান্ধী, নেহেরু, মুজফ্ফর আহমেদ, নেতাজি, চিত্তরঞ্জন দাস, ফজলুল হক, এরকম মহান ব্যক্তিত্বরা কীভাবে গোটা বিষয়গুলিকে পরিচালনা করতেন সেটা বোঝার চেষ্টা করি।
বাংলার বিগত বাম শাসনকেও একহাত নেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, ওরা( বামেরা) তো ক্যাপিটালিস্ট। ওরা মার্কসের ভাবধারা থেকে অনেক দূরে থাকতেন। সেই জায়গায় তৃণমূল একটি কল্যাণমূলক ভাবধারায় পরিচালিত হয় বলে মতামত তাঁর। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে রাজ্যের পাওনাগুলি আটকে রেখেছে তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।