নির্বাচন ঘোষণার পর সরকারি পরিকাঠামো দলীয় কাজে ব্যবহারের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সরকারি গেস্ট হাউজে নির্বাচনী বৈঠক করায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। যদিও তৃণমূলের দাবি, সরকারি গেস্ট হাউজ ভাড়া নিয়ে বৈঠক করেছে তারা।
আরও পড়ুন: বেলেঘাটা মেট্রো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ CRS-র! ‘পরীক্ষায় ফেলের জন্য’ দুষল পুলিশকে
গত বৃহস্পতিবার মালদা জেলা পরিষদের গেস্ট হাউজে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের মালদা জেলা সভাপতি আবদুল রহিম বক্সি ও জেলার ২ প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বৈঠকে জেলার অন্তত ৪০ জন নেতা হাজির ছিলেন বলে দাবি বিজেপির। ভোট ঘোষণার পর কী করে তৃণমূল দলীয় কাজে সরকারি পরিকাঠামোকে ব্যবহার করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। আবদুল রহিম বক্সির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
মালদা জেলা বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বার্লো স্কুলের উলটো দিকে জেলা পরিষদের অতিথি নিবাসে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক হয়েছে। তৃণমূল সরকারি সম্পত্তিকে দলীয় সম্পত্তি বলে ভাবতে শুরু করেছে। দলীয় কাজে সরকারি পরিকাঠামোর ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি। তাই আমরা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: লোকসভার সান্ত্বনা বিধানসভার উপ-নির্বাচনে! সায়ন্তিকাকে টিকিট TMC-র, ভগবানগোলায় কে?
পালটা আবদুল রহিম বক্সি বলেন, ‘জেলা পরিষদের অতিথি নিবাস ভাড়া দেওয়া হয়। আমরা ভাড়া নিয়ে বৈঠক করেছি। আমাদের কাছে রসিদ রয়েছে।’
নির্বাচন ঘোষণার পরে কমিশনের অনুমতি ছাড়া সরকারি পরিকাঠামো কোনও রাজনৈতিক দলকে ভাড়া দেওয়া যায় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপির দাবি, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ভুয়ো রসিদ বানিয়ে চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।