গ্রীষ্মকালে বাড়ি থেকে বের হলে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য অনেকেই খান ফ্রুট জুস। আপাতদৃষ্টিতে এই প্যাকেটেজাত ফ্রুট জুসগুলি খেতে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর মনে হলেও মনে রাখবেন, এগুলি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরে চলে যাচ্ছে অতিরিক্ত ক্যালরি।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ফ্রুট জুস নয়, প্যাকেটজাত কফি এবং চা, এমনকি নারকেল জলের সঙ্গেও শরীরে চলে যায়, অতিরিক্ত মাত্রায় শর্করা। প্রস্তুতকারীরা স্বাদ এবং মিষ্টতা বাড়াতে এই সমস্ত পণ্যের সঙ্গে চিনি যোগ করেন, যা স্বাদ বাড়ায় ঠিকই কিন্তু শরীরের ক্ষতি করে দেয়।
চিনির পরিমাণ ব্র্যান্ড এবং পানীয়র ধরন অনুযায়ী পাল্টাতে পারে। যে সমস্ত প্যাকেটজাত দ্রব্য ভারতে তৈরি হয়, সেই সমস্ত পানীয়তে গড়ে ৬ থেকে ২০ গ্রাম মত চিনি যোগ করা হয়। হিসেব করলে এটি প্রায় ১.৫ চা চামচ থেকে ৫ চা চামচ চিনির সমতুল্য।
প্যাকেটজাত পানীয় খেলে কী ক্ষতি হতে পারে
এই অতিরিক্ত চিনি আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। অতিরিক্ত চিনি আপনার ওজন বাড়াতে পারে, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। আপনার যদি ডায়াবিটিস থাকে, সে ক্ষেত্রে এই সমস্ত পানীয় আপনার রক্তে শর্করার মান বাড়িয়ে দিয়ে আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে।
প্যাকেটজাত পানীয় বেছে নেওয়ার আগে কী করনীয়
রাস্তায় বের হলে যখন প্যাকেটজাত পানীয় কিনবেন, তখন প্যাকেটের গায়ে লেখা উপকরণগুলি ভালো করে পড়ে নেবেন। চিনির মাত্রা কতটা আছে পড়ে, তবেই সেটি কিনবেন। চেষ্টা করবেন মিষ্টি বিহীন লেভেল যুক্ত পানীয় বেছে নেওয়ার। একান্ত যদি না হয়, সেক্ষেত্রে কম মাত্রায় চিনি রয়েছে এমন পানীয় বেছে নেবেন।
নিজেকে সুস্থ রাখতে কী করবেন?
প্যাকেটেজাত পণ্য ব্যবহার না করে আপনি চাইলে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয় বেছে নিতে পারেন। জল অথবা তাজা ফলের রস খেলে তাতে চিনির মাত্রা থাকবে না একেবারে। যদি একান্তই অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে বাড়ি থেকে বোতলে করে পানীয় নিয়ে তবেই রাস্তায় বের হবেন। ঘরে তৈরি স্মুদি, বাদামের দুধ ইত্যাদি খেলে তাতে চিনির মাত্রা থাকবে না একেবারে। এছাড়া দই অথবা যে কোনও ফল বেছে নিতে পারেন শরীরকে হাইড্রেটেড করে রাখার জন্য।