আগামী ২৯ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হবে গুড ফ্রাইডে। এই দিনটিতেই যিশু খ্রিস্ট ক্রুশে মারা যান এই পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য, পৃথিবীর মানুষদের তাঁদের করা ভুলগুলোর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। আর এই দিনটিকে ভারত, ইংল্যান্ড, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, বারমুডা, ব্রাজিল, ফিনল্যান্ড, মালতা, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইডেন, সহ একাধিক দেশে ছুটি হিসেবে পালিত হয়।
ক্রিশ্চানদের কাছে এই দিনটি অন্তত বেদনাদায়ক। অন্যতম পবিত্রতম দিনও বটে। এটিকে গ্রেট ফ্রাইডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, ইস্টার ফ্রাইডে, ইত্যাদি বলা গিয়ে থাকে। এই দিনটি বিশ্বজুড়ে ক্রিশ্চানরা কীভাবে পালিত করে দেখুন।
ক্যাথলিকরা এই দিনে কোনও মাংস খান না। বরং মাছ খান। ক্রস পাউরুটি খান। অনেকে আমার উপোস করেও থাকেন।
আরও পড়ুন: 'ভেবেছিলাম সমস্যা হবে...', ১৪ বছরের ছোট সপ্তর্ষিকে বিয়ে করার অনুমতি সোহিনীকে কে প্রথম দেন?
প্রটেসট্যান্টদের খাবারে কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও এঁরা এই দিন কোনও মাংস খান না।
জার্মানিতে লোকজন গিয়ে চার্চে কাজ করেন। অনেকেই উপোস করেন, এবং নিরবতা পালন করেন।
ভারতে দুপুরে যে সময় যিশু খ্রিস্ট মারা গিয়েছিলেন ওই সময় তিন ঘণ্টা ধরে তাঁরা বিশেষ পরিষেবা দিয়ে থাকেন। আলো বন্ধ করে রাখা হয়। কালো পোশাক পরেন। নিরবতা বজায় রাখেন।
ইতালিতে যিশু খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার সময়টিকে পুনঃনির্মাণ করে দেখানো হয়। বিভিন্ন ধরনের দুঃখের গান গাওয়া হয় চার্চে।
আরও পড়ুন: 'চমকিলা'র গানে আড়াআড়ি বিভক্ত ৮০ - এর দশকের পঞ্জাব! ট্রেলার লঞ্চে হঠাৎ ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন কেন দিলজিৎ?
আরও পড়ুন: ২২ - এ পা! মায়ের হাত ধরে কেক কাটলেন সারেগামাপা খ্যাত অঙ্কিতা, পেলেন কী কী উপহার?
মেক্সিকোতে লম্বা প্রসেশন বেরোয়। যিশু খ্রিস্টের মূর্তি নিয়ে লোকজন হাঁটেন।
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এদিন চার্চের বেল অতি ধীরে ধীরে বাজানো হয় প্রায় কোনও শব্দ না করেই। ইস্টার সানডে পর্যন্ত তারপর সেটাকে বন্ধ রাখা হয়। প্যারেড করা হয়ে থাকে কোথাও কোথাও। নাটক অনুষ্ঠিত হয়।