সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কিন্তু তাতে কি পুরোপুরি স্বস্তি মিলছে?
সুপ্রিম কোর্টের তরফে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ও দিল্লির সচিবালয়ে তিনি যেতে পারবেন না। যতক্ষণ না প্রয়োজন পড়ছে তিনি অফিসিয়াল কোনও ফাইলে সই করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে দিল্লির লেফটেনান্ট গভর্নরের সম্মতি লাগবে। খবর ল বিট সূত্রে।
এমনকী বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে কেজরিওয়াল আবগারি মামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। নির্দেশে বলা হয়েছে, এই মামলার সঙ্গে যুক্ত কোনও সরকারি ফাইল তিনি দেখতে পারবেন না। তিনি কোনও সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। ২০২৪ সালের ১লা জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন কেজরিওয়াল। তাঁকে ২রা জুন সারেন্ডার করতে হবে।
এদিকে গতকালই ইডির তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে একাধিক রাজনীতিবিদ বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে কেন বিশেষ আবেদন ও তার জন্য কেন বিশেষ ব্যবস্থা এটা বোঝা যাচ্ছে না।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের বিরোধিতা করেন। সেখানে বলা হয়েছিল যে এমন একটা ভাব দেখানো হচ্ছে যে তিনি যদি প্রচার করতে না পারেন তবে একেবারে স্বর্গ ভেঙে পড়বে।
তিনি বলেছিলেন এভাবে রাজনৈতিক নেতাদের আলাদা সারিতে রাখার চেষ্টা করবেন না। এখানে ম্যানেজিং ডিরেক্টররাও জেলে রয়েছে। তারা তো এবার বলবে যে আমি জেলে আমার কোম্পানি তো এবার লাটে উঠবে। …তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেবেন না।
গত ২১শে মার্চ সন্ধ্য়ায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি ইডির হেফাজতে ছিলেন। দিল্লিতে মুখ্য়মন্ত্রীর বাসভবনেও ইডির অভিযান হয়েছিল।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়া হচ্ছে। তবে সেটার মেয়াদ আগামী ১ জুন পর্যন্ত হবে। পয়লা জুনের পরে তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। অর্থাৎ নতুন করে জামিন না পেলে লোকসভা ভোটের গণনার দিনে (৪ জুন) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেলেই কাটাতে হবে। ভোটগণনার দিনে তিনি যাতে জেলের বাইরে থাকতে পারেন, সেই আর্জিও জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংঘভি। জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৫ জুন পর্যন্ত করার আর্জি জানান।
তবে তাতে সরাসরি ‘না' বলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ২ জুন কেজরিওয়ালকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। অর্থাৎ ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণের সময় জেলের বাইরে থাকবেন কেজরি। কিন্তু পরদিনই তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।