এককালে তিনি ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে মধ্যপ্রদেশে বিজেপির শাসন থাকলেও, আর মুখ্যমন্ত্রীর পদে নেই বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান। সদ্য তিনি প্রচার করছিলেন এক জনসভায়। সেখানে নির্বাচনী বিধি মেনে এক পুলিশ অফিসার শিবরাজ সিং চৌহানের মাইক বন্ধ করে দেন। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানের বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র পাটওয়া। পাল্টা সুরেন্দ্র পাটওয়া পুলিশকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘শোনো… এখানো এসো… এমন জায়গায় ফেলব আর ফিরে আসতে পারবে না।… উনি (পুলিশ অফিসার) খুব সমস্যা করছেন।’
গোটা ঘটনার ভিডিয়ো উঠে এসেছে ক্যামেরায়। ক্যামেরা বন্দি (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দৃশ্য ঘিরে বেশ শোরগোল শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। এই নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। এদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহানের মাইক বন্ধের পরই দেখা যায় শিবরাজ বলছেন, ‘কেন মাইক বন্ধ করলেন? এখনওতো ১০ টাও বাজেনি, মাইক চালিয়ে দিন, এনাকে এখান খেকে সরান।’ শিবরাজের পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে সুর চড়ান বিজেপির বিধায়ক সুরেন্দ্র পাটওয়া। সুরেন্দ্র পাটওয়া বলেন,' শোনো এমন জায়গায় ফেলা করাব যেখান থেকে ফিরতে পারবে না।' উল্লেখ্য, সামনেই ৭ মে রয়েছে ভোট। তার আগে, এই ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। কংগ্রেস এই ইস্যুতে বিজেপিকে টার্গেট করতে ছাড়ছে না। কংগ্রেস ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছে, ‘বিজেপির অহংকার দেখুন।’ এরপর কংগ্রেস এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত অশোভন ও নিন্দনীয় কাজ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
( Candidate rides buffalo Video: মোষে চেপে মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন প্রার্থী! কোথায় ঘটল?)
জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের বিদিশার ভোজপুর বিধানসভা এলাকায় ভোটের প্রচার করছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। বৃহস্পতিবার রাতে এই প্রচার চলছিল। তখনই নির্বাচনী বিধিকে সামনে রেখে এই মাইক বন্ধের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার পর ফের মাইক চালু হয়। প্রসঙ্গত, রাত ১০ টার পর প্রচার বন্ধের বিধি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী।