তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে মেসেজ করলে উত্তর পাওয়াটা সহজ বিষয় নয়। কারণ, এত ব্যস্ততার মধ্যে অনেক সময় মেসেজের উত্তর দেওয়াটা সম্ভব হয় না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে। তবে প্রধানমন্ত্রী হলেও মোদীকে মেসেজ করলেই দ্রুত জবাব পান অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। কতক্ষণে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছ থেকে মেসেজের জবাব পান মিঠুন চক্রবর্তী। সে বিষয়ে নিজেই জানালেন অভিনেতা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন সে বিষয়েও তথ্য সামনে এনেছেন।
আরও পড়ুন: ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা, বীরভূমে পালটা গর্জে উঠলেন মিঠুন
মিঠুন জানান, এখনও পর্যন্ত তাঁকে মেসেজের জবাব দিতে সর্বোচ্চ ২৩ মিনিট সময় নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তীকে পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। মিঠুন জানান, একবার বাংলায় একটি সভার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেইসময় একান্তে তাঁর সঙ্গে ১০ মিনিট বৈঠক কাটিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি জানান, ওইদিন বিজেপির একটি সভা ছিল। সেই সভার পরেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘মিঠুন দা আমি আপনার সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য কথা বলতে চাই।’ মিঠুন চক্রবর্তী নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে বলেন, ‘ওই ১০ মিনিট সত্যিই খুব চমৎকার ছিল। এটা শুধুমাত্র তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী বলে নয়, কারণ তাঁর স্বাভাবিক ব্যবহার এবং প্রতিক্রিয়াশীল প্রকৃতি আমাকে মুগ্ধ করেছিল। সেই প্রভাব আজও আমার মধ্যে রয়েছে।’
মিঠুন চক্রবর্তী আরও জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদীর ব্যস্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। ফলে তিনি মেসেজের জবাব দিতে দু-তিন দিন সময় নেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমার মেসেজের জবাব দিয়ে থাকেন। তিনি সর্বোচ্চ আমার মেসেজের উত্তর দিতে ২৩ মিনিট সময় নিয়েছিলেন।’ মিঠুন আরও জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন জার্মানিতে ছিলেন সেটা একটা আলাদা টাইম জোন। তা সত্ত্বেও তিনি দ্রুত আমার মেসেজের উত্তর দিয়ে আমাকে বলেছিলেন, এ বিষয়ে আমরা কালকে কথা বলব।’
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী এমন একজন ব্যক্তি যিনি কখনই বলেন না যে দেখা যাবে। আর যারা এই ধরনের কথা বলে সেই ধরনের ব্যক্তিদের থেকেও আমি দূরে থাকতে পছন্দ করি। কিন্তু, নরেন্দ্র মোদী সব সময় বলেন আসুন আলোচনা করে দেখা যাক।’