বিদ্যুতের মিটার থাকলেই এ বার থেকে মিলবে পনীয় জলের সংযোগ। জল অপচয় রুখতে এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের কথা জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
দফতর সূত্রে খবর, যাঁর নামে মিটার রয়েছে তাঁর নামে জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে যত্রতত্র পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া বন্ধ হবে। জল অপচয়ও কমবে এবং খরচও কম হবে। সাধারণত বাড়িতে একটি মিটার দেওয়া হয়। সেই মিটারের নথি দেখেই জলের সংযোগও দেওয়া হবে।
জল অপচয় রোখার পাশাপশি জলের যোগান যাতে না কমে সেই লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ করা হবে।পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবারের সরবরাহ করা জলের গুণগত মান নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা হবে।
(পড়তে পারেন। রেশন স্লিপে কাদের লোগো ব্যবহার করতে হবে? সংঘাতে কেন্দ্র ও রাজ্য)
প্রতিটি জেলার সব বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দিতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই কাজে আরও গতি আনার জন্য জেলাভিত্তিক বৈঠক করেছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। এই নিয়ে মুখ্যসচিবও দফতরের অফিসার এবং জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। রাজ্য সরকার চাইছে দ্রুত গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে।
দফতরের হিসাব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ৩৪.৪২ শতাংশ বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছেছে। এখনও বড় অংশের বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালে সব বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু যে গতিতে কাজ এগোচ্ছে তাতে আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন ২০২৪-এর মধ্য ৮০ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ১০০ শতাংশ করতে হলে কাজে আরও গতি আনতে হবে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের মোট খরচ ৫৮ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের মোট খরচের ৫০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র এবং ৫০ শতাংশ দেয় রাজ্য। তাই কাজে গতি এনে দ্রুত গ্রামীণ এলাকায় ১০০ শতাংশ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ ২০২৪-এ শেষ করতে চাইছে রাজ্য।