যতকাণ্ড বাজি নিয়ে। চলতি বছরে রাজ্যের একাধিক বাজি কারাখানায় বিস্ফোরণের পর জল্পনা ছিল রাজ্য সরকার কী কালীপুজোর আগে বাজি বাজারের অনুমতি দেবে। সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতি জানাচ্ছে বাজি বাজারের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে নবান্ন। ময়দানেই বাজি বাজার করার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
এর ফলে তিন বছর পর ময়দানে বসবে বাজি বাজার। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী ৫০টি স্টল থাকবে। কেবল মাত্র সবুজ বাজিই বিক্রি হবে স্টল থেকে। এখন শুধু সেনার ছাড়পত্রে অপেক্ষা। তারা সবুজ সংকেত দিলেই লক্ষ্মীপুজো থেকেই ময়দানে শুরু হতে পারে বাজি বাজার।
গত তিন বছর ধরে টালাতে বাজি বাজার বসত। এ বার সেখানে বাজি বাজার নাও হতে পারে। জানা গিয়েছে, তারাবাজি, চরকি, ফুলঝুরি, হাওয়াই, তুবড়ি, রং মশাল এবং আকাশে ওঠার বাজি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়ে। এর জন্য একমাসে লাইসেন্স দেওয়া হবে। কিন্তু বাজি বাজার চলবে ১৫ দিনের জন্য।
বাজি বাজার নিয়ে সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে-
-প্রতিটি স্টলের মধ্যে ৩ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে
-কোনও স্টলের গেট মুখোমুখি হওয়া চলবে না।
- বাজারের এলাকায় 'বিস্ফোরক' ও 'বিপজ্জনক সামগ্রী ' কথাটি লিখে রাখতে হবে।
-বাজি রাখার জন্য দাহ্য নয় এমন বস্তু দিয়ে ছাউনি তৈরি করতে হবে।
-বিদ্যুৎ এবং আলোর ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
- স্টলের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বাজি ফাটানো যাবে না।
- অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি দমকল গাড়ির পাশাপাশি জরুরি চিকিৎসারও ব্যবস্থা রাখতে হবে।
(পড়তে পারেন। নারী-শিশুর স্বাস্থ্যপাঠ দিতে সঙ্গী ধর্ম, অভিনব হ্যান্ডবুক ইউনিসেফের)
২০১৯ সালের পর ময়দানে বসছে বাজি বাজার। সূত্রে খবর, সব জেলা মিলিয়ে মোট ৭০টি বাজি মেলা হবে। এ ছাড়া শহরে ময়দান বাদ দিয়ে বড় মেলা হবে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম, কাওয়াখালি ও বেহালা বা বারাসতের মধ্যে কোথাও মেলা হবে। আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩০ দিন সময় আছে। কিন্তু ময়দানে অতদিন মেলা হবে না। ১৫ দিন পর্যন্ত চলতে পারে।'
তাই লক্ষ্মীপুজোর আগে থেকেই বাজি বাজার বসার সম্ভাবনা রয়েছে।