নিয়োগে দুর্নীতিতে আগেই নাম জড়িয়েছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য তথা এসএসসির প্রাক্তন সচিব সুবীরেশ ভট্টাচার্যের। সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তরবঙ্গের আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপাচার্জের নাম জড়াল। সম্প্রতি ওই উপাচার্যকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি উত্তরবঙ্গের একাধিক স্কুলে শিক্ষক-অশিক্ষক পদে বহু জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৫০ জনের বেশি তাঁর মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: আমার নাম নিলে বিপদ হত- কী প্রসঙ্গে বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই উপাচার্য প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন সচিব সুবীরেশের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই উপাচার্যের নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ওই উপাচার্যের মাধ্যমে যাঁরা নিয়োগ হয়েছিলেন সেই নিয়োগের সঙ্গে সুবীরেশ জড়িত রয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। প্রাথমিকভাবে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে সেই তালিকা ইমেল মারফত সুবীরেশের কাছে পাঠিয়ে দিতেন ওই উপাচার্য। তারপরে সুপারিশের ভিত্তিতে ওই সমস্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করেন সুবীরেশ। এর সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিও জড়িত ছিলেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সুবীরেশকে পাঠানো নামের তালিকা সহ একটি ইমেইল তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সিবিআইয়ের দাবি, সেই ইমেইলের প্রার্থীদের তালিকা ছিল।
তদন্তকারীদের দাবি, পার্থ ঘনিষ্ঠ একাধিক উপাচার্য, কলেজের অধ্যক্ষ এবং এসএসসির আধিকারিকদের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল। ইতিমধ্যেই অনেককেই সেই মামলায় গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার তালিকায় নতুন সংযোজন ওই উপাচার্য। সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালে রাজ্যের যে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল তাতে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে প্রায় ৩০০ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুতই ওই উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হবে।