বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > টিটাগড় পুরসভার চাকরি চুরির অভিযোগ, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করলেন চয়নিকা

টিটাগড় পুরসভার চাকরি চুরির অভিযোগ, অয়ন শীলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করলেন চয়নিকা

চয়নিকা আঢ্য

এই ঘটনায় টিটাগড়ের প্রাক্তন পুরপ্রধান বলেন, ‘উনি নির্দিষ্ট দিনে কাজে যোগদান করেননি। এমনকী তার পরও দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই আমি উপর তলার আধিকারিকদের জনিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আর কিছু করা যায়নি। টিটাগড় পুরসভায় ওই পদটি এখনো খালি পড়ে রয়েছে।’

রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন চুঁচুড়ার ব্যয়ামবিদ চয়নিকা আঢ্য। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভায় চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। এর পর তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন চুঁচুড়ারই বাসিন্দা অয়ন শীল। টাকা দিতে না পারায় চয়নিকার চাকরিটি অন্যকে বিক্রি করে দেন অয়ন।

চুঁচুড়া ষন্ডেশ্বর তলার বাসিন্দা চয়নিকা আঢ্যের অভিযোগ, ২০১৯ সালে তিনি স্পোর্ট কোটায় টিটাগড় পুরসভায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি পান। সেই চাকরিতে যোগদান করতে যাওয়ার আগে তাঁকে অয়ন শীলের সঙ্গে দেখা করতে বলেন এক পুলিশকর্মী। সেই মতো অয়নের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন তিনি। তখন অয়ন তাঁর কাছে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে তিনি অপারক বলে জানালে অয়ন তাঁকে বিধাননগরের অফিসে দেখা করতে বলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে অয়নের দেখা পাননি তিনি। এর পর নির্দিষ্ট দিনে তিনি টিটাগড় পুরসভায় কাজে যোগদান করেন। স্থানীয় বেসরকারি ব্যাঙ্কে তাঁকে জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্টও খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দিন সাতেক কাজ করার পর তাঁকে বলে দেওয়া হয়, আর আসতে হবে না। চয়নিকার দাবি, এর পর রাতারাতি মেধাতালিকা বদলে যায়। তাঁর জায়গায় নাম চলে আসে অন্যজনের।

এই ঘটনায় টিটাগড়ের প্রাক্তন পুরপ্রধান বলেন, ‘উনি নির্দিষ্ট দিনে কাজে যোগদান করেননি। এমনকী তার পরও দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই আমি উপর তলার আধিকারিকদের জনিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আর কিছু করা যায়নি। টিটাগড় পুরসভায় ওই পদটি এখনো খালি পড়ে রয়েছে।’

গত ১ এপ্রিল বিজেপি আইনজীবী সেলের এক প্রতিনিধি দল চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। তার পর সোমবার চুঁচুড়া থানায় অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন চয়নিকা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্যরা। অয়ন শীল ছাড়া আরো তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন চয়নিকা।

যে পুলিশ কর্মী অয়ন শীলের বার্তা নিয়ে চয়নিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই মানস সেন, টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী, টিটাগড় পুরসভার বড়বাবু শঙ্কর কুমার সিংয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ হয়েছে।

চয়নিকা বলেন, পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করেতে পারিনি। আমার হকের চাকরি ফেরত চাই।অভিযুক্তের শাস্তি চাই।

চয়নিকার আইনজীবী শিবাজি দাস বলেন,যে তথ্য প্রমান রয়েছে চয়নিকার কাছে তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনো অসুবিধা হবার কথা না। আজ এফআইআর করা হয়েছে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া।

 

বন্ধ করুন