স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নামে রাজ্যের ঢক্কানিনাদ যে ভুয়ো তা ফের একবার প্রমাণ হল মন্ত্রীর ক্ষোভে। এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের রোগী ফেরানোর জন্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজনদের মধ্যে অন্যতম মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ফেরালে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। প্রশ্ন উঠছে, মন্ত্রীর এই নিদানে কি পরিস্থিতি বদলাবে।
বিরোধীদের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বেসরকারি রোগী ভর্তি করা কঠিন কাজ। কার্ডের রোগী শুনলেই ‘বেড নেই’ বলে মুখ ফিরিয়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার অরূপবাবু বলেন, ‘মেডিকা হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি করছে না। বেসরকারি হাসপাতালে কি গরিব মানুষ পরিষেবা পাবে না? বাম জমানায় এই হাসপাতালগুলোই বাইপাসের ধারে ১ টাকায় জমি পেয়েছিল। এর পর আমি মেডিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে নিজে থানায় গিয়ে অভিযোগ করব’। মন্ত্রীর এই ক্ষোভের কোনও জবাব অবশ্য এখনও দেয়নি মেডিকা কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে সরকারের দড়ি টানাটানি নতুন নয়। হাসপাতালগুলির দাবি, স্বাস্থ্যসাথীর পাওনা সময় মতো পাওয়া যায় না। কোটি কোটি টাকা বকেয়া। তার ওপরে রাজ্য সরকারের হাজারো নির্দেশিকা মেনে কাজ করতে হয়। অত ঝক্কি পোহানোর পর মাসের পর মাস এমনকী কখনও টাকার জন্য অপেক্ষা করতে করতে বছর ঘুরে যায়। এছাড়া স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে পরিষেবার নির্ধারিত মূল্যও কম। যদিও এব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ তারা।
বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকারের টাকা নেই। তাই স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প হাতির দাঁতে পরিণত হয়েছে। যা শুধু দেখা যায় কিন্তু কোনও কাজে আসে না। এর বদলে অয়ুস্মান ভারত প্রকল্প চালুর দাবি জানিয়েছে তারা।