৩২২ দিন। রাস্তায় বসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদেরও দাবি প্রাপ্য বকেয়া ডিএ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পথে নেমেছেন তাঁরা। মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এখনও বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে এবার তাঁরা দাবি নিয়ে পৌঁছে গেলেন কলকাতা হাইকোর্টে। তবে তাঁদের ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভার জন্য নবান্ন বাসস্ট্যান্ড ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর সভা করার দাবিতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁদের আবেদন ফিরিয়ে দেন।
এদিকে বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘভাতা–সহ নানা দাবি আদায়ে এই সভা করার অনুমতি চেয়ে কয়েকদিন আগেই হাওড়া পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যদিও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনও উত্তরই মেলেনি। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সরকারি কর্মীদের খালি হাতেই ফেরালেন বিচারপতি। সুতরাং সভা করা বিশ বাঁও জলে। আর বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘আপনারা ময়দানে বসে প্রতিবাদ করছেন। হাওড়ার ওই জায়গা যথেষ্ট ব্যস্ত। তাই ওখানে বসার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সমস্যা আছে।’ যদিও বিচারপতি মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি সম্ভবত সোমবার।
অন্যদিকে ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াচ্ছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। ডিসেম্বর মাসে চারদিন ধরে নবান্নের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ১৯,২০, ২১, ২২ ডিসেম্বর নবান্নের সামনে বিক্ষোভের ডাক দেন তাঁরা। কিন্তু প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে এমন করা যায় না। কারণ সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা থাকে। তাছাড়া ওটা ব্যস্ত এলাকা হওয়ায় সভা করলে যানজট তৈরি হবে। তাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই শহিদ মিনারের নীচে অবস্থান বিক্ষোভ করে চলেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
আরও পড়ুন: কাঁধে বসল আড়াই ইঞ্চি লম্বা টাইটেনিয়াম প্লেট, কেমন আছেন কামারহাটির বিধায়ক?
এছাড়া সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আরও একটি কর্মসূচি রয়েছে ২০২৪ সালের শুরুতে। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সপ্তাহে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শিয়ালদা, হাওড়া, হাজরা মোড় থেকে মিছিল শুরু হবে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট প্রথম কর্মসূচির স্থান নিয়ে অনুমতি না দেওয়ায় বাকিগুলি মিলবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। সম্প্রতি মহার্ঘভাতা নিয়ে বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘যদি কেউ কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চান সেক্ষেত্রে তিনি কেন্দ্রের চাকরি করতে পারেন। কেউ আটকাবে না।’