মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফর থেকে ফিরতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আমেরিকা যাচ্ছেন। ফলে বেশ কিছুদিন তিনি বাংলায় থাকবেন না। এক সপ্তাহ আমেরিকায় থাকার কথা রাজ্যপালের। মার্কিন মুলুকের সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। আর তাতেই যোগ দিতে আমেরিকা পাড়ি দিচ্ছেন রাজ্যপাল। সুতরাং রাজ্যপালের অনুপস্থিতিতে অনেক কাজ পড়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকায় থাকাকালীন রাজভবনের সঙ্গে টেলিফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মারফত যোগাযোগ রাখবেন তিনি।
কবে আমেরিকা যাচ্ছেন রাজ্যপাল? এদিকে রাজ্যপাল আমেরিকায় থাকলে ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ কেমন করে হবে! এতে অবাক হচ্ছেন অনেকে। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল, সোমবার আমেরিকা সফরে যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে এই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজভবন থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। তার মধ্যে রাজ্যপাল আমেরিকা চলে গেলে এই শপথ থমকে যাবে। সুতরাং বিশ বাঁও জলে এখন ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ। এই আবহে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ রাজভবনে হবে। বিধায়ক এবং পরিষদীয় দফতর নাকি এমন খবর পেয়েছেন।
তাহলে কি পিছিয়ে যাবে শপথগ্রহণ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আমেরিকা থেকে ফিরলে এই শপথগ্রহণ হতে পারে। তবে সে বিষয়েও রাজভবন কিছু জানায়নি। সুতরাং বিধায়কের শপথগ্রহণ আপাতত বিশ বাঁও জলে। গতকালও দেখা গিয়েছে নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন। তাঁর মধ্যে এই বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। কারণ তিনি জয়ী বিধায়ক। তাই আজ হোক বা কাল শপথ করাতেই হবে। সেটা রাজ্যপালই রাজভবনে করাবেন নাকি বিধানসভার অধ্যক্ষ করাবেন তাতে কিছু তাঁর যায় আসে না। ফলত রাজ্যপাল আমেরিকা গেলেন বা গেলেন না তাতেও তাঁর কিছু ভাবার নেই।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনে জরুরি বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল, উপাচার্যদের হাজির হতে নির্দেশ
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্যপাল আমেরিকা যাওয়ার আগে যদি বিধানসভার অধ্যক্ষকে মনোনীত করে যান তাহলে নির্মল রায়ের শপথ করাতে পারেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যদি তা না করেন তাহলে আমেরিকা থেকে ফেরার পরই হবে শপথগ্রহণ। ততদিন অপেক্ষা করতে হবে। গত ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলি দিন। এখন সেপ্টেম্বর মাস শেষ হতে চলল। বিধায়কের শপথ হল না। ফলে তিনি কাজ শুরু করতে পারছেন না। আর মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন আবহে জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।